রবিবার, জুন ১, ২০২৫
  • ব্যবহার শর্তাবলি
  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ
  • সচরাচর জিজ্ঞাসা (FAQ)
নৈপুণ্য
  • প্রাকৃতি ও জীবন
  • সৌর জগত
  • প্রযুক্তি
  • আরও
    • স্বাধীন বাংলা
    • টিউটোরিয়াল
    • ইলেকট্রিসিটি
    • সাম্প্রতিক আপডেট
    • প্রকাশনা
  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ
  • গোপনীয়তা নীতি
No Result
View All Result
নৈপুণ্য
  • প্রাকৃতি ও জীবন
  • সৌর জগত
  • প্রযুক্তি
  • আরও
    • স্বাধীন বাংলা
    • টিউটোরিয়াল
    • ইলেকট্রিসিটি
    • সাম্প্রতিক আপডেট
    • প্রকাশনা
  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ
  • গোপনীয়তা নীতি
No Result
View All Result
নৈপুণ্য
No Result
View All Result
Home প্রাকৃতি ও জীবন

ঋতু পরিবর্তন এবং মরুভূমি Season change on earth and Desert

বিজ্ঞান ডেক্স by বিজ্ঞান ডেক্স
জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
in প্রাকৃতি ও জীবন
3
ঋতু পরিবর্তন এবং মরুভূমি Season change on earth and Desert
585
SHARES
3.2k
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

ঋতু পরিবর্তন এবং মরুভূমি Season change on earth and Desert: শীতকালে আকাশে সূর্যের গতিপথ কখনো লক্ষ্য করেছেন? শীতকালে সূর্য কিন্তু একদম মাথার উপরে আসে না, বরং দিগন্তের দিকে হেলে থাকে। ফলে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান কম থাকে। ফলাফল, ছোট দিন, বড় রাত।

আবার মার্চের ২১ তারিখ এবং সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ, দিন এবং রাতের দৈর্ঘ্য সমান থাকে। কিন্তু আবার, ২ মেরুতে টানা ৬ মাস দিন এবং ৬ মাস রাত থাকে। উত্তর মেরুতে যখন দিন, দক্ষিণ মেরুতে তখন রাত। দিন-রাতের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে ঋতুর উপর।

Table of Contents

Toggle
    • You might also like
    • ইলেকট্রনিক বর্জ্য সমাচার – Electronic waste or E-waste
    • এল নিনো, লা নিনা প্রভাব El nino, La Nina and Heat Wave
    • নদী বিজ্ঞান River science, Erosion and Deposition
  • পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ (Earth elliptical orbit)
  • পৃথিবীতে ঋতু কেন হয়? (Why do we have seasons on earth)
  • কেন মেরুতে প্রায় ৬ মাস দিন এবং ৬ মাস রাত থাকে?
  • মরুভূমির ধরণ (Type of desert)
  • মরুভূমিতে রাতে ঠান্ডা আর দিনে গরম হওয়ার কারণ

You might also like

ইলেকট্রনিক বর্জ্য সমাচার – Electronic waste or E-waste

এল নিনো, লা নিনা প্রভাব El nino, La Nina and Heat Wave

নদী বিজ্ঞান River science, Erosion and Deposition

ঋতু নির্ভর করে পৃথিবীর অবস্থানের উপর। পৃথিবীর অবস্থান অনুযায়ী সোলার এনার্জি সমানভাবে পৃথিবীর সকল স্থানে আপতিত হয় না। ফলে বাংলাদেশের শীতের তীব্রতা কম, কিন্তু ইউরোপের শীতের তীব্রতা বেশি। আবার পৃথিবীর কিছু কিছু স্থান শুষ্ক মরুভূমি।

পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ (Earth elliptical orbit)

ঋতু পরিবর্তন এবং মরুভূমি Season change on earth and Desert এর প্রভাব

প্রথমে মনে করা হতো, সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর গতিপথ যেহেতু উপবৃত্তাকার, সেই সাথে সূর্য সেই উপবৃত্তের কেন্দ্রে থাকে না। ফলে সূর্যকে আবর্তনকালে পৃথিবীর অবস্থান যখন সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন গ্রীষ্মকাল। এবং যখন পৃথিবীর অবস্থান সূর্য থেকে দূরে থাকে, তখন শীতকাল।

কিন্তু পরে দেখা গেল, এই বিষয়ের সাথে ঋতুর কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ পৃথিবী এবং সূর্য যখন সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে, একে বলা হয় পেরিহেলিয়ন, যা ঘটে জানুয়ারি মাসে। এখন যুক্তি অনুযায়ী এই সময় গ্রীষ্মকাল বা গরম থাকার কথা।

কিন্তু বাস্তবে জানুয়ারিতে শীত থাকে। আবার পৃথিবী যখন সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে, একে বলে অ্যাপহেলিয়ন, যা ঘটে জুলাই মাসে। এখন যুক্তি অনুযায়ী এই সময় শীত থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে জুলাই মাসে গরম থাকে।

আসলে পৃথিবীর গতিপথ উপবৃত্তাকার হলেও তা খুব বেশি নয়। পেরিহেলিয়ন এবং অ্যাপহেলিয়নের দূরত্বের পার্থক্য মাত্র ৩%। ফলে পৃথিবীর গতিপথকে প্রায় বৃত্তাকার ভাবা যায়।

  • আরও পড়ুনঃ হার্প কী? What Is HAARP and Behind story of HAARP conspiracy theory

পৃথিবীতে ঋতু কেন হয়? (Why do we have seasons on earth)

পৃথিবীতে ঋতু কেন হয়? (Why do we have seasons on earth)

সাধারণভাবে আমরা মনে করি, পৃথিবী হয়তো সোজাভাবে অবস্থান করে। কিন্তু বাস্তবে এমনটা নয়। পৃথিবী তার নিজ অক্ষে ২৩.৫ ডিগ্রি কাত হয়ে থাকে। এবং এই জন্যই গ্রহগুলোকেও ২৩.৫ ডিগ্রি কাত করে তৈরি করা হয়।

এখন পৃথিবী কাত হয়ে থাকার ফলে, পৃথিবী যখন সূর্যের চারদিকে আবর্তিত হয়, তখন সূর্য থেকে আসা আলোর সমান তীব্রতায় পৃথিবীর সকল স্থানে আপতিত হয় না। এবং এই জন্যই মূলত পৃথিবীতে ঋতুর পরিবর্তন দেখা যায়।

ডিসেম্বর মাসে পৃথিবী এবং সূর্যের অবস্থান এমন হয় যে, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের বিপরীত দিকে ঝুঁকে থাকে। এর ফলে বিষুব রেখা থেকে যত উত্তর দিকে যাওয়া হবে, দিনের দৈর্ঘ্য ততই ছোট হবে। সেই সাথে আলো তির্যকভাবে আপতিত হবে।

এর ফলে বিষুব রেখা থেকে উত্তর দিকে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। সূর্যের আলো কিভাবে পৃথিবীতে আপতিত হচ্ছে, এই বিষয়টি শীতের তীব্রতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই বিষয়টি বোঝার জন্য একটি টর্চলাইট বিবেচনা করুন।

একটি টর্চলাইটের আলো যদি লম্বাভাবে আপতিত হয়, তবে টর্চলাইটের সম্পূর্ণ এনার্জি একটি ছোট স্থানে আপতিত হবে। ফলে ওই স্থানটি সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত হবে।

কিন্তু টর্চলাইটের আলো যদি তির্যকভাবে আপতিত হয়, তবে একই পরিমাণ শক্তি বড় স্থানে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ওই স্থান আগের মতো উত্তপ্ত হবে না।

ঠিক একই ঘটনা ঘটে ডিসেম্বর মাসে। বিষুব রেখা থেকে উত্তর দিকে একদিকে দিনের দৈর্ঘ্য কমতে থাকে, অন্যদিকে সোলার এনার্জি কম আপতিত হয়। ফলাফল, শীতকাল।

এখন এই অবস্থায় যদি আমরা দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে লক্ষ্য করি, তাহলে দেখা যাবে সেখানে দিনের দৈর্ঘ্য বেশি এবং রাতের দৈর্ঘ্য কম। সেই সাথে আলোর তুলনামূলক লম্বাভাবে আপতিত হয়। ফলে সেখানে গ্রীষ্মকাল।

এভাবে মার্চ মাসে পৃথিবী এবং সূর্যের অবস্থান হবে এমন। এখানে পৃথিবী আগের মতই একই দিকে ২৩.৫ ডিগ্রি কাত হয়ে আছে। কিন্তু এই কাত হয়ে থাকার বিষয়টি সূর্যের দিকে কিংবা সূর্যের বিপরীত দিকে নয়।

ফলে এই সময় পৃথিবীতে রাত এবং দিনের দৈর্ঘ্য সমান হয়ে থাকে। এবং এর ফলে আলোকবর্ষ আপতিত হবার বিষয়টিও পরিবর্তিত হয়। ফলে তখন উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঋতুর পরিবর্তন আসে।

এভাবে আমরা যদি জুন মাসের ক্ষেত্রে বিবেচনা করি, তাহলে পৃথিবী আগের মতই একই দিকে কাত হয়ে থাকবে। এখন, কাত হয়ে থাকার বিষয়টি যেহেতু তার দিক পরিবর্তন করেনি, ফলে এবার উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে। এ ক্ষেত্রে উত্তর গোলার্ধে দিন বড় হয় এবং রাত ছোট হয়।

এখানে খেয়াল করুন, এই সময় সূর্যের আলো বাংলাদেশের উপর প্রায় লম্বাভাবে আপতিত হয়। ফলে এই সময় সূর্যের গতিপথ লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সূর্য দিগন্তের দিকে ঢুকে থাকে না, বরং আমাদের মাথার উপরে থাকে।

এই সময়টায় উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল বিরাজ করে। এইভাবে সেপ্টেম্বরে আবার দিন এবং রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয়।

আরও পড়ুনঃ ভূমিকম্প এবং সুনামি Earthquake and Tsunami

কেন মেরুতে প্রায় ৬ মাস দিন এবং ৬ মাস রাত থাকে?

এখন পৃথিবী সূর্যের চারদিকে আবর্তনকালে যদি নিজ অক্ষে কাত হয়ে না থাকতো, তাহলে কিন্তু পৃথিবীতে ঋতুর বৈচিত্র দেখা যেত না। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করুন, পৃথিবীর কাত হয়ে থাকার ফলে কিন্তু উত্তর গোলার্ধ প্রায় ৬ মাস সূর্যের দিকে থাকে। আবার বাকি ৬ মাস সূর্যের বিপরীত দিকে থাকে।

অর্থাৎ উত্তর গোলার্ধে টানা ৬ মাস আলো পৌঁছায় না, আবার টানা ৬ মাস আলো পৌঁছায়। এমন ক্ষেত্রে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, মেরুতে যেহেতু টানা ৬ মাস দিন থাকে, তাহলে সেখানের বরফ গলে যায় না কেন?

মেরুতে টানা ৬ মাস দিন থাকলেও, সেখানে সূর্যের আলো সবচেয়ে বেশি তির্যকভাবে আপতিত হয়। ফলে খুবই অল্প পরিমাণ তাপশক্তি মেরুতে আপতিত হয়, যা বরফ গলিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। যার ফলে মেরুর বরফ গলে যায় না।

আরও পড়ুনঃ জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা Climate change and Nobel prize 2021 physics

মরুভূমির ধরণ (Type of desert)

মরুভূমির ধরণ (Type of desert)

মেরুতে সূর্য মূলত দিগন্তের দিকে হেলে থাকে। আমরা যদি টানা ৬ মাস দিনের ক্ষেত্রে মেরুতে সূর্যের অবস্থান দেখি, তবে তা এমন হবে। পৃথিবীর কিছু কিছু স্থান এতটাই শুষ্ক যে, সেখানে বৃষ্টিপাত হয় না বললেই চলে। সেই স্থানগুলোকে আমরা মরুভূমি বলি।

মরুভূমিকে মূলত ৪ ভাগে ভাগ করা যায়: হট অ্যান্ড ড্রাই ডেজার্ট, রেইন শেডো ডেজার্ট। হট অ্যান্ড ড্রাই ডেজার্ট মূলত সাবট্রপিকাল অঞ্চলে দেখা যায়। অর্থাৎ ট্রপিক অফ ক্যান্সার এবং ট্রপিক অফ ক্যাপ্রিকর্ন অঞ্চলে। হট অ্যান্ড ড্রাই ডেজার্ট এই অঞ্চলগুলোতে সূর্যের আলো বছরের নির্দিষ্ট সময়ে লম্বাভাবে আপতিত হয়ে থাকে।

এই অঞ্চলের বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয় বাষ্প নেই বললেই চলে। ফলে এই অঞ্চলে মেঘ তৈরি হতে পারে না। যার ফলে খুবই অল্প পরিমাণ বৃষ্টি হয়। ফলাফল, মরুভূমি। রেইন শেডো ডেজার্ট মূলত বড় বড় পর্বতমালার জন্য তৈরি হয়ে থাকে। উঁচু পর্বতমালা মেঘকে একপাশে আটকে রাখে। ফলে পর্বতের একপাশে প্রচুর বৃষ্টি হলেও অন্য পাশে বৃষ্টিপাত হয় না।

ফলে ওই অংশটি মরুভূমিতে পরিণত হয়। যেমন সাহারা মরুভূমি। এর উত্তর দিকে রয়েছে আটলাস পর্বতমালা। সেইসাথে বলা যায় আটাকামা ডেজার্ট, যা পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমি। এই মরুভূমিতে বছরে মাত্র ১৫ মিনিট বৃষ্টি হয়ে থাকে।

যেখানে শুধুমাত্র আমার নরসিংদী জেলাতেই বছরে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। অর্থাৎ আটাকামা ডেজার্টের প্রায় চারগুণ বেশি বৃষ্টিপাত শুধুমাত্র আমার নরসিংদী জেলাতেই হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ বন্যা কেন হয় এবং কোন বন্যা সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর All kinds of Flood

মরুভূমিতে রাতে ঠান্ডা আর দিনে গরম হওয়ার কারণ

মরুভূমিতে রাতে ঠান্ডা আর দিনে গরম হওয়ার কারণ

পৃথিবীর বড় বড় মরুভূমি মূলত এই দুই ধরনের। মরুভূমির তাপমাত্রা দিনের বেলায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আবার রাতের বেলায় মাইনাস ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।

মরুভূমিতে দিন এবং রাতের তাপমাত্রায় এত বিশাল পার্থক্য কেন হয়? সূর্যের আলো এবং তাপশক্তি মরুভূমির বালুতে আপতিত হলে তা বালুকে উত্তপ্ত করে। কিন্তু বালু খুব একটা তাপ ধরে রাখতে পারে না। ফলে বালু তাপশক্তি রিলিজ করে দেয়, যা মরুভূমির বাতাসকে উত্তপ্ত করে। ফলে দিনের বেলায় তাপমাত্রা অত্যাধিক বেশি হয়ে থাকে।

অন্যদিকে, রাতের বেলায় বালু যখন তাপশক্তি রিলিজ করে, তখন সেই তাপশক্তি ধরে রাখার জন্য মরুভূমির বাতাসে জলীয়বাষ্প থাকে না। এখন আমরা জানি, জলীয়বাষ্প খুব ভাল তাপ ধরে রাখতে পারে। কিন্তু মরুভূমির বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ প্রায় শূন্য। সেই সাথে মরুভূমির আকাশে মেঘও থাকে না।

বালুর নির্গত তাপশক্তি ধরে রাখার মতো কিছুই না থাকার ফলে রাতের বেলায় মরুভূমি দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়। আপনাদের অনেকেরই মনে হতে পারে, মরুভূমি খুবই অগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যার কোনো প্রয়োজনীয়তাই নেই। কিন্তু এই কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়।

সাহারা মরুভূমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মরুভূমি। ২০০৬ সালে নাসা লঞ্চ করা ক্যালিপসো স্যাটেলাইট অ্যামাজন জঙ্গলের চাকচিক্যের পেছনে সাহারা মরুভূমির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লক্ষ্য করে। টেলিমেট্রির ২০০৭ থেকে ২০১৩ সালের ডাটা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, প্রতিবছর গড়ে ১৮২ মিলিয়ন টন ডাস্ট পার্টিকেল বাতাসের মাধ্যমে সাহারা থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়।

যার মধ্যে প্রায় ২৭ মিলিয়ন টন ডাস্ট পার্টিকেল অ্যামাজন জঙ্গলে পতিত হয়। এই সাহারা থেকে আসা ডাস্ট পার্টিকেলে গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল ফসফরাস থাকে, যা অ্যামাজন ফরেস্টের গাছের পুষ্টির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রপিকাল অঞ্চলগুলোতে এমনিতেই ফসফরাসের ঘাটতি থাকে। তার ওপর অ্যামাজনের বন্যা এবং অন্যান্য কারণে ফসফরাসের ঘাটতি তৈরি হয়।

সুতরাং, সাহারা থেকে যদি ডাস্ট অ্যামাজনে না আসতো, তবে অ্যামাজন হয়তো এতটা সমৃদ্ধ হতে পারতো না। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, সাহারার বালুতে এত ফসফরাস আসে কোথা থেকে? আসলে সাহারা যে সবসময় মরুভূমি ছিল তা নয়।

আর্কিওলজিক্যাল এবং জিওলজিক্যাল স্টাডি অনুযায়ী, প্রায় ১১,০০০ থেকে ৫,০০০ বছর পূর্বে সাহারা সবুজ ছিল। অর্থাৎ বনভূমির মতই জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ছিল। পরবর্তীতে সময়ের সাথে সাথে সাহারা মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এতে রয়ে গেছে প্রচুর পরিমাণ মিনারেলস।

এইজন্যই সাহারার বালুতে বিভিন্ন ধরনের মিনারেলস পাওয়া যায়। আসলে পৃথিবীর সবকিছুই পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। শুধু পৃথিবী নয়, মহাবিশ্বের সবকিছুই সবকিছুর সাথে সম্পর্কযুক্ত।

এখন একটি বিষয় অন্যটির সাথে কিভাবে সম্পর্কযুক্ত, এটা জানা যায় জ্ঞান থেকে। একটা সময় মনে করা হতো, সকল স্টারের শেষ পরিণতি হচ্ছে হোয়াইট ডোয়ার্ফ। তবে চন্দ্রশেখর ম্যাথমেটিক্সের মাধ্যমে দেখান যে, সকল স্টারের শেষ পরিণতি হোয়াইট ডোয়ার্ফ নয়।

শুধুমাত্র নির্দিষ্ট রেঞ্জের ভরের তারাই হোয়াইট ডোয়ার্ফে পরিণত হয়, যাকে বলে চন্দ্রশেখর লিমিট। কিন্তু চন্দ্রশেখরের কথা তখন খুব একটা গুরুত্বের সাথে দেখা হয়নি। এই চন্দ্রশেখর লিমিট এবং হোয়াইট ডোয়ার্ফ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন। ভিডিও ভালো লাগলে বিজ্ঞান পাইসি পরিবারে যুক্ত হয়ে সাথে থাকতে পারেন।

Tags: New Carriculamবিজ্ঞান শিক্ষামহাবিশ্ব
Previous Post

হার্প কী? What Is HAARP and Behind story of HAARP conspiracy theory

Next Post

বৃষ্টি সমাচার – Rainfall, Hailstorm, Lightning and Artificial rain

বিজ্ঞান ডেক্স

বিজ্ঞান ডেক্স

Related Posts

ইলেকট্রনিক বর্জ্য সমাচার - Electronic waste or E-waste
প্রাকৃতি ও জীবন

ইলেকট্রনিক বর্জ্য সমাচার – Electronic waste or E-waste

by বিজ্ঞান ডেক্স
জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
এল নিনো, লা নিনার প্রভাব El nino, La Nina and Heat Wave
প্রাকৃতি ও জীবন

এল নিনো, লা নিনা প্রভাব El nino, La Nina and Heat Wave

by বিজ্ঞান ডেক্স
জানুয়ারি ২১, ২০২৫
নদী বিজ্ঞান River science, Erosion and Deposition
প্রাকৃতি ও জীবন

নদী বিজ্ঞান River science, Erosion and Deposition

by বিজ্ঞান ডেক্স
জানুয়ারি ২০, ২০২৫
মাটির নিচে পানি বা ভূগর্ভস্থ পানি রহস্য – Groundwater and Aquifer
প্রাকৃতি ও জীবন

মাটির নিচে পানি বা ভূগর্ভস্থ পানি রহস্য – Groundwater and Aquifer

by বিজ্ঞান ডেক্স
জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
বৃষ্টি সমাচার - Rainfall, Hailstorm, Lightning and Artificial rain
প্রাকৃতি ও জীবন

বৃষ্টি সমাচার – Rainfall, Hailstorm, Lightning and Artificial rain

by বিজ্ঞান ডেক্স
জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
Next Post
বৃষ্টি সমাচার - Rainfall, Hailstorm, Lightning and Artificial rain

বৃষ্টি সমাচার - Rainfall, Hailstorm, Lightning and Artificial rain

Comments ৩

  1. Pingback: বৃষ্টি সমাচার - Rainfall, Hailstorm, Lightning and Artificial rain - Naipunno
  2. Pingback: মাটির নিচে পানি বা ভূগর্ভস্থ পানি রহস্য - Groundwater and Aquifer - Naipunno
  3. Pingback: কন্যাকুমারী - তিন সাগরের মোহনায় দেখা মেলে তিন রঙের জলের ধারা - নৈপুণ্য

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recommended

বাংলাদেশ - পৃথিবীর মানচিত্রে উজ্জ্বল এক নক্ষত্র

বাংলাদেশ – পৃথিবীর মানচিত্রে উজ্জ্বল এক নক্ষত্র

জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
ঋতু পরিবর্তন এবং মরুভূমি Season change on earth and Desert

ঋতু পরিবর্তন এবং মরুভূমি Season change on earth and Desert

জানুয়ারি ১৭, ২০২৫

Categories

  • ইলেকট্রিসিটি
  • এআই প্রযুক্তি
  • টিউটোরিয়াল
  • প্রযুক্তি টিপস্
  • প্রাকৃতি ও জীবন
  • ভ্রমণ গাইড
  • শিক্ষা সংবাদ
  • সাম্প্রতিক আপডেট
  • সৌর জগত
  • স্বাধীন বাংলা

Don't miss it

এআই যুগে টিকে থাকতে শিখতে হবে ৫ স্কিল – Learn 5 Essential Skills to Survive in the Age of AI
এআই প্রযুক্তি

এআই যুগে টিকে থাকতে শিখতে হবে ৫ স্কিল – Learn 5 Essential Skills to Survive in the Age of AI

এপ্রিল ১২, ২০২৫
ফ্রি এবং সেরা Ai Video Generator দিয়ে তৈরি করুন ছবি থেকে ভিডিও
এআই প্রযুক্তি

ফ্রি এবং সেরা Ai Video Generator দিয়ে তৈরি করুন ছবি থেকে ভিডিও

মার্চ ৮, ২০২৫
ESP32 Camera Module ব্যবহার করে মিনি ওয়াইফাই ক্যামেরা তৈরি করার সহজ পদ্ধতি
প্রযুক্তি টিপস্

ESP32 Camera Module ব্যবহার করে মিনি ওয়াইফাই ক্যামেরা তৈরি করার সহজ পদ্ধতি

মার্চ ৭, ২০২৫
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ এর আদ্যোপান্ত: ৪৫০০ টাকায় শুরু থেকে শেষ
ভ্রমণ গাইড

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ এর আদ্যোপান্ত: ৪৫০০ টাকায় শুরু থেকে শেষ

মার্চ ৫, ২০২৫
নিকলী হাওর ভ্রমণ এক দিনেই: কম খরচের ট্যুর প্লান
ভ্রমণ গাইড

নিকলী হাওর ভ্রমণ এক দিনেই: কম খরচের ট্যুর প্লান

মার্চ ৪, ২০২৫
বাংলাদেশ ভ্রমণ: ১০টি চমৎকার পর্যটন স্থান
ভ্রমণ গাইড

বাংলাদেশ ভ্রমণ: ১০টি চমৎকার পর্যটন স্থান

মার্চ ৩, ২০২৫
নৈপুণ্য

Authentic and Real-time educational information provider platform for you

Learn more

Categories

  • ইলেকট্রিসিটি
  • এআই প্রযুক্তি
  • টিউটোরিয়াল
  • প্রযুক্তি টিপস্
  • প্রাকৃতি ও জীবন
  • ভ্রমণ গাইড
  • শিক্ষা সংবাদ
  • সাম্প্রতিক আপডেট
  • সৌর জগত
  • স্বাধীন বাংলা

Browse by Tag

AI AI Tools Bangladesh Travel ChatGPT DSHE Generative AI Half Yearly Routine NCTB New Carriculam SHED Travel অষ্টম শ্রেণি মূল্যায়ন টুলস ২০২৪ আজকের খবর আপডেট নিউজ এআই কারেন্সি রেট চ্যাটজিপিটি জনপ্রশাসন টাকার দাম ডিপসিক দৈনিক শিক্ষা নতুন কারিকুলাম মূল্যায়ন নবম শ্রেণি মূল্যায়ন টুলস ২০২৪ নিকলী হাওর ভ্রমণ নৈপুণ্য পিসি টিপস বাংলাদেশ বাংলাদেশ ভ্রমণ বাংলাদেশের ইতিহাস বিজ্ঞান শিক্ষা ভ্রমণ গাইড মহাবিশ্ব মুদ্রা বিনিময় হার শিক্ষা সংবাদ ষষ্ঠ শ্রেণি মূল্যায়ন টুলস ২০২৪ সংস্কার প্রতিবেদন সপ্তম শ্রেণি মূল্যায়ন টুলস ২০২৪ সিলেবাস

© 2025 Naipunno - Education and Technology Tips Hub by SoftDows.

No Result
View All Result
  • নৈপুণ্য অ্যাপ
  • লগইন
  • যোগাযোগ

© 2025 Naipunno - Education and Technology Tips Hub by SoftDows.