রবিবার, জুন ১, ২০২৫
  • ব্যবহার শর্তাবলি
  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ
  • সচরাচর জিজ্ঞাসা (FAQ)
নৈপুণ্য
  • প্রাকৃতি ও জীবন
  • সৌর জগত
  • প্রযুক্তি
  • আরও
    • স্বাধীন বাংলা
    • টিউটোরিয়াল
    • ইলেকট্রিসিটি
    • সাম্প্রতিক আপডেট
    • প্রকাশনা
  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ
  • গোপনীয়তা নীতি
No Result
View All Result
নৈপুণ্য
  • প্রাকৃতি ও জীবন
  • সৌর জগত
  • প্রযুক্তি
  • আরও
    • স্বাধীন বাংলা
    • টিউটোরিয়াল
    • ইলেকট্রিসিটি
    • সাম্প্রতিক আপডেট
    • প্রকাশনা
  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ
  • গোপনীয়তা নীতি
No Result
View All Result
নৈপুণ্য
No Result
View All Result
Home ভ্রমণ গাইড

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ এর আদ্যোপান্ত: ৪৫০০ টাকায় শুরু থেকে শেষ

শিক্ষা ও ভ্রমণ ডেক্স by শিক্ষা ও ভ্রমণ ডেক্স
মার্চ ৫, ২০২৫
in ভ্রমণ গাইড
0
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ এর আদ্যোপান্ত: ৪৫০০ টাকায় শুরু থেকে শেষ
585
SHARES
3.3k
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

ভ্রমণপিপাসুদের কাছে একটি পর্যটন স্পট টাঙ্গুয়ার হাওর। আজকের আপনাদের জানাবো মাত্র ৪৫০০ টাকায় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের আধাঁর টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ এর আদ্যোপান্ত। কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কি কি খাবেন, কোথায় খাবেন এবং কী কী দেখবেন সব কিছুই কাভার করবো ইনশাআল্লাহ!

এছাড়াও, এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের জানাবো হাওরের সব জনপ্রিয় পর্যটন স্পট ভ্রমণের বিস্তারিত। ছবির মতো সুন্দর জাদুকাটা নদী, বারেকের টিলাসহ অসম্ভব সুন্দর নীল পানির নীলাদ্রি লেক এবং বোনাস হিসেবে থাকছে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা এক অসাধারণ সুন্দর ঝর্ণার সন্ধান। বাংলাদেশের ১০টি সেরা দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ আয়োজন এর দ্বিতীয় পর্ব এটি।

Table of Contents

Toggle
    • You might also like
    • নিকলী হাওর ভ্রমণ এক দিনেই: কম খরচের ট্যুর প্লান
    • বাংলাদেশ ভ্রমণ: ১০টি চমৎকার পর্যটন স্থান
    • শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ ১ দিনে – মাত্র ১৩৬০ টাকায় – Dhaka to Sreemangal Tour One Day 2025
  • টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ
  • ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ যাত্রা
    • সুনামগঞ্জে পৌঁছানো
    • নৌকায় ওঠা
  • পরিশেষ

You might also like

নিকলী হাওর ভ্রমণ এক দিনেই: কম খরচের ট্যুর প্লান

বাংলাদেশ ভ্রমণ: ১০টি চমৎকার পর্যটন স্থান

শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ ১ দিনে – মাত্র ১৩৬০ টাকায় – Dhaka to Sreemangal Tour One Day 2025

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ

হাউজবোটে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ এর চিত্র
হাউজবোটে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ এর চিত্র

নদী ও হাওর ভালোবাসেন এমন ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে টাঙ্গুয়ার হাওর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। প্রতি বছর হাজার হাজার দেশ বিদেশি দর্শনার্থী এখানে বেড়াতে আসে। সুনামগঞ্জের দুটো উপজেলা মধ্যনগর ও তাহিরপুর এর মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে এই হাওরটির অবস্থান।

৬০ বছরের ইজারাদারির অবসান ঘটাতে ১৯৯৯ সালে এটিতে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা এবং ২০০০ সালে রামসার স্থান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এটিকে মাদার অব ফিশারিজ (সব হাওরের মা) বলা হয়।

বর্তমানে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট হলো এই টাঙ্গুয়ার হাওর। আজ আপনাদের জানাবো কিভাবে মাত্র ৪,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে রাজার হালে ১ রাত ২ দিনের এরকম একটি লাক্সারিয়াস হাউজবোটে করে ভেসে বেড়াবেন হাওরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

যেখানে থাকছে ৫ বেলার মূল খাবারের সাথে ৪ বেলা স্ন্যাকসহ সর্বমোট ৯ বেলার ভরপুর খাওয়া-দাওয়া। এরকম একটা ট্রিট দিলে আপনি অবশ্যই বলতে বাধ্য হবেন—”আমার ট্রিট মানেই খাওয়া-দাওয়া!”

তাছাড়া, কোথা থেকে খুব সহজেই এই হাউজবোটগুলো রিজার্ভ করবেন, তার বিস্তারিত জানাবো এই ভিডিওর শেষ প্রান্তে। তাই ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে শুরু করছি আমাদের আজকের ভ্রমণগল্প—টাঙ্গুয়ার হাওরকে নিয়ে।

ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ যাত্রা

টাঙ্গুয়ার হাওর যাওয়ার জন্য আমাদের সর্বপ্রথম গন্তব্য হচ্ছে সুনামগঞ্জ। ঢাকা অথবা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সুনামগঞ্জ রুটের যেকোনো বাসে করে চলে আসতে পারেন সুনামগঞ্জ শহরে।

এবারের যাত্রায় আমরা যাচ্ছি ঢাকার সায়দাবাদ থেকে শ্যামলী পরিবহনের একটি নন-এসি বাসে করে। ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত নন-এসি বাসের ভাড়া পড়েছিল জনপ্রতি ৮০০ টাকা। যদি এসি বাসে যেতে চান, সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে মাত্র ১,২০০ টাকা।

চারপাশের এরকম মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, আমরা এরই মধ্যে সুনামগঞ্জের বেশ কাছে চলে এসেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মোটামুটি ৬ থেকে ৭ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন সুনামগঞ্জ বাস টার্মিনালে।

সুনামগঞ্জে পৌঁছানো

হ্যালো এভরিওয়ান! গুড মর্নিং ফ্রম সুনামগঞ্জ! এই মুহূর্তে আমরা সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আছি। আমি মূলত সকাল ৭টার আশপাশে এসে পৌঁছেছি।

সর্বপ্রথম যে কাজটি করছি, সেটি হলো ফেরার টিকিট নিশ্চিত করা। কারণ অনলাইনে যাওয়ার টিকিট পাওয়া না যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এখানকার স্থানীয় মালিকরা আগেই টিকিট কেটে রাখেন, যেন পরে লোকালি বিক্রি করতে পারেন।

তাই প্রথম কাজ হিসেবে এসে আগে ফেরার টিকিট নিশ্চিত করুন। কারণ ফেরার সময় প্রচণ্ড চাপ থাকবে, এবং তখন হয়তো টিকিট পাওয়া যাবে না।

নৌকায় ওঠা

নৌকায় ওঠার আগে অবশ্যই ফেরার টিকিট নিশ্চিত করে নিন। এবার চলুন, নৌকায় যাই!

এখন প্রশ্ন আসতে পারে—কোথা থেকে বোটে উঠবেন? চিন্তার কোনো কারণ নেই। হাউজবোট থেকেই আপনাকে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হবে, আপনার বোর্ডটি কোথায় অপেক্ষা করছে।

আগে হাউজবোট কম থাকায় সাহেবের ঘাট থেকে সহজেই নৌকায় ওঠা যেত। কিন্তু বর্তমানে এত পরিমাণে হাউজবোট হাওরে নেমেছে যে সব নৌকা সাহেবের ঘাটে নোঙর করতে পারে না।

সুনামগঞ্জ পৌঁছানোর পরপরই আমাদের হাউজবোট থেকে ফোন আসে এবং জানানো হয়, আমাদের বোর্ডটি কোথায় নোঙর করা আছে।

ঐতিহাসিক আব্দুল জহুর সেতুর পাশে, জনতা চক্ষু হাসপাতালের পেছনে। সো, আমি কিন্তু এই যে সেই জনতা চক্ষু হাসপাতাল—এখানে চলে এসেছি।

আসলে মূলত আপনাদের গাইড যারা থাকবে, তারাই আপনাকে ফোন করে জানিয়ে দেবে। অথবা, যদি দলে লোকজন বেশি থাকেন, সেক্ষেত্রে গাইড আপনার কাছে চলে আসতে পারে। মানে, যদি বেশি ক্রিটিকাল জায়গা হয়। যেহেতু এটি একদম হাইওয়ের সাথেই, জাস্ট এদিক দিয়ে ঢুকলেই নৌকার ঘাট পেয়ে যাবেন। সো, আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে, আমি ঠিক সেইভাবেই চলে এসেছি। আপনারা চাইলে তাদের হেল্প নিতেও পারেন, তারা আপনাকে সঠিকভাবে বোর্ডের কাছে পৌঁছে দেবে।

বোর্ডের কাছে এসে দেখি, হিজলের পাশাপাশি সিন্দাবাদও দাঁড় করানো আছে। মূলত এই দুইটি বোটই একটি গ্রুপের। আমি ব্যতীত আজকের যাত্রার মোটামুটি সকল গেস্ট ঠিক সময়ে চলে এসেছে। তাই, আর দেরি না করে বোটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের বোর্ড রওনা হয়ে যায় হাওরের উদ্দেশ্যে।

আমরা কিন্তু আমাদের হাওরের মিলন শুরু করে দিয়েছি! দেখতে পাচ্ছেন, আমরা এখন আব্দুল জহুর সেতুর নিচ দিয়ে সুরমা নদীতে প্রবেশ করছি। আমাদের প্রথম গন্তব্য ওয়াজটাও সেই ওয়েস্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। সো, চলুন, আর আশপাশটা উপভোগ করতে থাকুন।

বোটে উঠে হালকা ফ্রেশ হয়ে ছাদে চলে যাই সুরমা নদীর অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বোটের ছাদেই আমাদের সকালের নাস্তা পরিবেশন করা হয়। আমাদের সকালের নাস্তায় ছিল খিচুড়ি, ডিম, মুরগির মাংস, আচার, শসা এবং একটি লেবু। সো, মোটামুটি এটাই ছিল আমাদের আজকের সকালের মিল।

সকালের নাস্তা শেষ করে কিছুক্ষণের জন্য চলে যাই লবিতে। ও হ্যাঁ, আপনাদের তো এখনো আমাদের বোর্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়নি!

বোটের শুরুতেই রয়েছে একটি বিশাল সাইজের লবি, যেখান থেকে উপভোগ করতে পারবেন হাওরের অসীম সৌন্দর্য। এখানে বসেই হবে গান, আড্ডা, আর ভরপেট খাওয়া-দাওয়া। খাবারের ব্যবস্থা মূলত ছাদেই করা হবে, তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে লবিতে পরিবেশন করা হবে।

এই বোর্ডে রয়েছে সর্বমোট পাঁচটি রুম। ইন্টারেস্টিংলি, প্রতিটি রুমেরই আলাদা আলাদা নাম দেওয়া আছে, যেমন—শালুক, সিঙ্গারা, সরণালতা, বরুণ ও হেলেঞ্জা।

চলুন, এবার একটু রুমগুলোর ভেতরে দেখি। এটি হচ্ছে সিঙ্গারা, পাঁচটি রুমের মধ্যে একটি। প্রথমেই যে বিষয়টি চোখে পড়বে, সেটি হলো—প্রতিটি কেবিনেই তালার সঙ্গে একটি চাবি দেওয়া আছে, যা দিয়ে আপনি বাহিরে গেলে রুম সিকিউর করতে পারবেন।

এই হচ্ছে রুমের অবস্থা। ভেতরে ঢুকলেই এক সুন্দর আমেজ তৈরি হয়, আর বাহিরের কোনো শব্দ একদমই আসে না।

সর্বপ্রথম যে জিনিসটি রয়েছে, সেটি হলো ওয়াশরুম। এখানে ঢুকলেই আপনি একটি উন্নত মানের ওয়াশরুম পাবেন, যেখানে গোসলের জন্য শাওয়ার নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, এবং ওয়াশরুম ব্যবহারের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে।

যাই হোক, এবার একটু রুমের ভেতরে দেখি। এটি হচ্ছে রুমের অবস্থা!

বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। এখানে কাপড় রাখার হ্যাঙ্গার আছে, একটা টুল আছে, একটা ঝুড়ি আছে। আর বেডটা আসলেই অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, দেখুন, দুইজনের জন্য। এখানে একটা ফ্যান আছে, আর অনেক সুন্দর করে সাজানো লাইটও রয়েছে। ইকো-সিস্টেমটি বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

এখানে সামনে দেখতে পাচ্ছেন একটি মিরর আছে। কমপ্লিমেন্টারি হিসেবে শ্যাম্পু, পেস্ট, চিরুনি, ব্রাশ দেওয়া হয়েছে। আর পানি তো সার্বক্ষণিক পাওয়া যাবে, আপনার যতটুকু পানি দরকার, তারা সবসময় সরবরাহ করবে।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, এখানে একটা উইন্ডো রয়েছে। এই উইন্ডো দিয়ে আপনি হাওরের দৃশ্য উপভোগ করতে করতে বিশ্রাম নিতে পারবেন। চার্জের জন্য সকেটও দেওয়া আছে।

এই হচ্ছে রুমের অবস্থা। সকলেরই বেশ ভালো লাগবে। সো, আপনারা চাইলে এই হাউসবোটে ভ্রমণ করতে পারেন। প্রতিটি জানালায় পর্দা দেওয়া আছে, সো, প্রাইভেসি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। এমনকি দরজার মধ্যেও পর্দা দেওয়া আছে, তাই প্রাইভেসি পুরোপুরি বজায় থাকবে।

এবার চলুন, বোর্ডের ছাদের অবস্থা দেখি। ছাদে মোটামুটি ছয়টি টেবিল এবং বারোটি বেঞ্চ রয়েছে। এছাড়া বিশ্রামের জন্য দুইটি জায়গা রয়েছে। সামনের অংশে কিছুটা ডেকোরেশন করা হয়েছে।

এটি খুবই সাধারণ, তবে খুব সুন্দর লাগছে। যাই হোক, আমরা সকালের নাস্তা শেষ করে এখন মূলত ওয়াচ টাওয়ারের দিকে যাচ্ছি। সেখানে যেতে প্রায় চার ঘণ্টার মতো সময় লাগে। তবে, এই চার ঘণ্টা একদমই বোরিং নয়, কারণ এখান থেকে মেঘালয়ের পাহাড় খুব সুন্দরভাবে দেখা যায়। মাঝে মাঝে কিছু গ্রাম দেখা যায়, যেগুলো দূর থেকে ছবির মতো লাগে।

এই গ্রামগুলোর বাহ্যিক সৌন্দর্য যেমন চমৎকার, বাস্তবতা কিন্তু কঠিন। ছয় মাস ধরে এই এলাকাগুলো পানিবন্দি থাকে। যাতায়াতের জন্য একমাত্র উপায় হলো নৌকা। জরুরি পরিস্থিতিতেও নৌকা ছাড়া যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কারণ সড়কপথ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন থাকে।

এটাই তাদের জীবন। আমাদের হয়তো আর বেশি সময় লাগবে না, আমরা এখন মোটামুটি দেড় ঘণ্টার মধ্যে ওয়াচ টাওয়ারে পৌঁছে যাব। চলুন, দেখাচ্ছি সেই ওয়াচ টাওয়ারের সৌন্দর্য।

চারপাশের অপরূপ দৃশ্য দেখতে দেখতে আমাদের সকালের স্ন্যাকস পরিবেশন করা হয়। মৌসুমী ফল হিসেবে ছিল আম, কাঁঠাল, পেয়ারা। পেয়ারায় একটু মরিচ মাখানো, তাই স্বাদটা দারুণ লাগছে।

এরই মধ্যে আমরা পৌঁছে গেছি আমাদের দিনের প্রথম গন্তব্য, ওয়াচ টাওয়ারের কাছে। আমাদের নৌকা অলরেডি পৌঁছে গেছে। এবার আমরা নেমে পড়ব।

এ ভাই, গান হবে নাকি? গান শুনাবো তো, তাই না?

গান শুনাও তো! যাই হোক, চলুন যাওয়া যাক, দেখা যাক। এগুলো আঁকবো।

এই জায়গাটা মোটামুটি কিছুটা রাতারাতি গড়ে উঠেছে। যাই হোক, আমরা একটু পরে নামবো। তার আগে ওর মুখে একটা গান শুনবো। দেখি, আগে একটা জায়গায় বসে গান শোনা যায় কি না।

তাই তো আইলাম! যাই হোক, আমরা মুরব্বি টাঙ্গাইল এয়ারপোর্টে একটা গোসল দিয়ে, পরিষ্কার হয়ে এখন যাচ্ছি নীলাদ্রি লেকের দিকে। যাওয়ার পথের ভিউটা দেখুন, অসাধারণ!

আকাশ একদম মেঘমুক্ত, আর ওইদিকে পাহাড়গুলোও বেশ সুন্দর লাগছে। চলুন, এই ভিউ উপভোগ করতে করতে আমরা নীলাদ্রির দিকে যাই। এরই মধ্যে আমাদের দুপুরের খাবারও রেডি হয়ে গেছে।

দুপুরের মেনুতে ছিল এই হাওর থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু মাছ। ওটা কি বোয়াল মাছ? আর এটা কই? সবই হাওরের মাছ, তাই তো? আচ্ছা, যাই হোক।

আমাদের বাকি সদস্যরা আসলে আমরা একসঙ্গে খেতে বসবো। ইনশাআল্লাহ, এখন খাওয়া শুরু করবো। সো, আমরা দুপুরের লাঞ্চ সেরে নিলাম। এর মধ্যেই আমাদের নৌকা টেকের ঘাটে পৌঁছে গেছে।

এই যে, দেখতে পাচ্ছেন, এটি টেকের ঘাট। এখানে বিভিন্ন ধরনের ট্রলার এসে নোঙর করেছে। আমরা এখন একটু বিশ্রাম নেব, তারপর আশপাশের কিছু দর্শনীয় জায়গা ঘুরে দেখবো।

নীলাদ্রি লেক, লাক মাছ ধরা এবং আরেকটি সুন্দর ঝর্ণা রয়েছে, যেখানে যাওয়ার চেষ্টা করবো। সো, চলুন, এখন সেদিকে যাই।

সূর্যের তাপ অনেকটাই কমে এসেছে। দুপুরে বেশ গরম ছিল, কিন্তু এখন বেশ স্বস্তি লাগছে। এখান থেকে ৫-৬ মিনিট হাঁটলেই নীলাদ্রি লেকে পৌঁছে যাব।

মোটামুটি ৪-৫ মিনিটের মধ্যে আমরা নীলাদ্রি লেকে পৌঁছে গেলাম। এই যে, সামনে দেখতে পাচ্ছেন, এটাই সেই নীলাদ্রি লেক। পানির রঙটা দেখুন, একদম নীল!

হয়তো এই নীল পানির কারণেই একে নীলাদ্রি বলা হয়। আমার পেছনে বেশ কয়েকটি টিলা রয়েছে, আর ওই পাশের টিলাটি ভারতের অংশ।

আপনারা চাইলে পারপারসন ৪০ টাকা দিয়ে নৌকায় উঠে ওদিকে যেতে পারবেন। বিকেলটা খুব সুন্দরভাবে এখানে কাটানো যায়, কারণ সূর্যাস্তের পর পরিবেশটা একদম মুগ্ধকর হয়ে ওঠে।

নীলাদ্রি লেক ঘুরে আমরা এবার একটা বাইক ভাড়া নিয়েছি। দুজন গেলে দুটি স্পট—লালঘাট ওয়াটারফলস এবং লাক মাছ ধরা—দেখা যাবে, যার জন্য প্রতি বাইকের ভাড়া ৪০০ টাকা।

আমি যেহেতু একা যাচ্ছি, একটু কন্সিডার করে ৩০০ টাকায় ঠিক করেছি। যাই হোক, এখন আমরা আগে লালঘাটের দিকে যাই!

তারপরে লাক মাছ ছড়ায় যাব। খুবই চড়াই-উৎরাই পার হয়ে আসতে হবে আপনাকে, কিন্তু আসার পর দেখুন—সেই ঠান্ডা জলরাশি কত সুন্দরভাবে পড়ছে! পানির প্রবাহ দেখুন, ঝর্ণার শব্দ হয়তো আপনারা শুনতে পাচ্ছেন।

বিশেষ করে লালঘাট ওয়াটারফল! সত্যি বলতে, এখানে এলে মন ভালো হয়ে যাবে। আমার দেখা টেকের ঘাটের মধ্যে এটি সবচেয়ে সুন্দর জায়গাগুলোর একটি। লালঘাট ওয়াটারফল টেকের ঘাটের খুবই কাছে।

যারা টাঙ্গুয়ার হাওরে আসবেন, তারা অবশ্যই লালঘাট ওয়াটারফল ঘুরে যাবেন। আমরা লালঘাট ওয়াটারফল থেকে এখন চলে আসছি লাক মাছ ছড়ায়।

এই যে, দেখতে পাচ্ছেন, সামনে এটাই লাক মাছ ছড়া! আমরা একটু নিচে নামবো। মূলত, এই এলাকায় পাহাড় থেকে বয়ে আসা পানির ঝিরি পথগুলোকে বলা হয় “ছড়া”। আর এই ছড়াটি যে গ্রামের পাশে অবস্থিত, তারই নাম লাকমা।

এই দুটি শব্দ মিলে জায়গাটির নাম হয়েছে লাকমাছড়া। ছড়ার উৎপত্তিস্থল দেখার জন্য আমার ড্রোনটিকে একটু ভেতরে পাঠালাম, যেখানে এই ছড়ার পাশেই মেঘালয়ের একটি সুন্দর ব্রিজ চোখে পড়ল।

সব মিলিয়ে, আমার মতে শুষ্ক মৌসুমের চেয়ে বর্ষায় এই জায়গাটি আরও সুন্দর হয়। টেকের ঘাটে ফিরে আমরা হাউসবোটের ছাদে বসে বিকেলের সূর্যাস্ত উপভোগ করলাম।

তবে তার চেয়েও বেশি মুগ্ধ করলো এখানকার রাতের দৃশ্য। এটি যেন এক অন্যরকম আমেজ—কেউ গানে মেতে উঠেছে, কেউবা আড্ডায়!

নিজেকে নিজের মতো উপভোগ করার জন্য এর থেকে সুন্দর কিছু আর হতে পারে না। এরকম পরিবেশে সন্ধ্যার স্ন্যাকস শেষ করে কখন যে রাতের খাবারের সময় হয়ে যাবে, টেরই পাবেন না।

রাতের খাবারে ছিল হাওরের অন্যতম আইকনিক খাবার “হাঁস ভুনা”। সঙ্গে ছিল আরও কিছু মজাদার আইটেম। খাওয়া-দাওয়া শেষে, প্রথম দিনের সমাপ্তি ঘটিয়ে আমরা ঘুমাতে চলে গেলাম।

কারণ, আগামীকাল খুব সকালে আমাদের রওনা হতে হবে এই ট্রিপের অন্যতম আকর্ষণ—জাদুকাটা নদীর উদ্দেশ্যে!

হ্যালো, এভরিওয়ান! আসসালামু আলাইকুম! ডেটিংয়ে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।

এই মুহূর্তে সকাল ৫টা ৫০ মিনিট, এবং আমরা টেকের ঘাট থেকে রওনা হয়ে গেলাম জাদুকাটা নদীর উদ্দেশ্যে। আমাদের একটু সকাল সকাল রওনা হতে হচ্ছে, কারণ জাদুকাটা নদী হয়ে সুনামগঞ্জ যাওয়ার যে পথ, তা পানিতে ডুবে গেছে।

কিন্তু এই পথ দিয়ে আমাদের নৌকা যেতে পারবে না, তাই আগের পথেই ফিরে যেতে হবে। এতে ২-৩ ঘণ্টা বেশি সময় লাগবে।

সেই কারণে আমরা সময় নষ্ট না করে সরাসরি জাদুকাটা নদীর দিকে যাচ্ছি, যেখান থেকে শিমুল বাগান এবং বারেকের টিলা ঘুরে দেখব।

সো, চলুন এখন যাওয়া যাক সেই জাদুকাটা নদীর উদ্দেশ্যে!

আমরা সকাল সকাল বারেকের টিলা থেকে রওনা হয়ে, অলরেডি জাদুকাটা নদী পার হয়ে শিমুল বাগানের কাছে পৌঁছে গেছি।

পানির রঙ দেখলে অবাক হয়ে যাবেন! একদম নীল জলরাশি—স্বচ্ছ পানির অপরূপ সৌন্দর্য। সত্যিই মনোমুগ্ধকর!

এটা না দেখলে বোঝা অসম্ভব, কতটা সুন্দর এই জাদুকাটা নদী। তো চলুন, সামনে আরও অনেক কিছু দেখানোর আছে। চলুন, আমরা এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাই!

আমাদের হাউসবোট কিন্তু বারেকের টিলার কাছে একটি জায়গায় নোঙর করেছে। আর এইটাই হলো জাদুকাটা নদী। ওইদিকে শিমুল বাগানটা আছে। শিমুল বাগানে আমরা একটু পরে যাব, আগে বারেকের টিলা ঘুরে আসি। তারপর শিমুল বাগানের দিকে যাব।

তো চলুন, এখন বারেকের টিলার দিকে যাই। আমরা হাউসবোট থেকে নেমে এখন বারেকের টিলার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। রাস্তাটা একটু স্লিপারি, তবে এখানে আসার সময় বাইক পেয়ে যাবেন। প্রতিজনের জন্য ১০০ টাকা নেবে—যাওয়া ও আসা মিলিয়ে। তবে হেঁটে গেলে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মতো সময় লাগবে। এতটুকু হাইকিং করাই যায়!

চলুন, যাই সামনের দিকে। ওয়াও! জাস্ট ওয়াও! অসাধারণ একটা ভিউ! এখান থেকে জাদুকাটা নদীর সবচেয়ে সুন্দর ভিউ দেখা যাচ্ছে।

এদিকে পাহাড়গুলো মেঘালয়ে, আর নদীটি বাংলাদেশের অংশে। এই পাশটা ভারতীয় সীমান্ত। এখান থেকে আরেকটু সামনে গেলে আন্তর্জাতিক সীমানা বোঝা যাবে, তবে আমরা সেখানে যাব না।

এখান থেকে যে ভিউ পাওয়া যাচ্ছে, তা অসাধারণ! দেখুন, এখানে বাংলাদেশের শেষ সীমানা চিহ্নিত করা আছে। আন্তর্জাতিক সীমা লঙ্ঘন করা নিষেধ, তাই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।

এই যে, দেখতে পাচ্ছেন, এটি হলো সীমানা পিলার। এক পাশে “বাংলাদেশ” লেখা আছে, আরেক পাশে “ভারত”। এটিই বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত পিলার।

সীমান্তের এই দিকটাই বারেকের টিলার শেষ পয়েন্ট। এর পরের অংশ ভারতের ভেতরে পড়ে, তাই সামনে যাওয়া যাবে না। এখান থেকেই অনেকে জাদুকাটা নদীর সবচেয়ে সুন্দর ভিউ উপভোগ করে।

যারা আসবেন, অবশ্যই বারেকের টিলা ঘুরে যাবেন।

হাউসবোটে ফিরে দেখি, আমাদের সকালের নাশতা প্রস্তুত। আজকের নাশতায় ছিল তেহারি আর মুরগির মাংস।

জাদুকাটা নদীর স্বচ্ছ পানিতে ভাসতে ভাসতে সকালের নাশতা শেষ করলাম। কিছুক্ষণ পর আমরা পৌঁছে গেলাম জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগানের কাছে।

“তোমার বন্ধুরা কই? একা একা কেন?”

নাশতা করতে করতেই আমাদের নৌকা শিমুল বাগানের ঘাটে এসে পৌঁছেছে।

এই যে, এই পাশটিই হলো শিমুল বাগান। আমাদের নৌকা ঘাটে নোঙর করেছে, এখন আমরা শিমুল বাগানের দিকে যাব।

এন্ড, টিকিট কেটে আমরা ভিতরে ঢুকবো।

আমরা টিকিট কেটে নিলাম—প্রতি টিকিটের মূল্য ৩০ টাকা।

“আহ, সুজন! এখন আমরা ঢুকছি!”

শিমুল বাগানে বেশি ভিড় হয় কারণ এর সৌন্দর্য মুগ্ধ করার মতো। দেখুন, প্রতিটি গাছ সোজাসুজি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল থেকেও দেখলে মনে হবে, সব গাছ মেট্রিক্যালি ছাঁটা!

এদিকেও সিমেট্রিকাল! প্রতিটা গাছ খুব সুন্দরভাবে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে। অসম্ভব সুন্দর একটি বাগান তৈরি করা হয়েছে এখানে। সত্যিই দেখতে যে কারোর ভালো লাগবে।

আর যখন শুষ্ক মৌসুম, অর্থাৎ শীতকাল আসবে, তখন এই শিমুল বাগান পুরো লাল হয়ে যায়। কারণ তখন শিমুলের ফুল ফুটে, আর পুরো বাগান লাল রঙে রাঙিয়ে দেয়।

শিমুল বাগানের অন্যতম আকর্ষণ হলো ঘোড়ার سواری। এই সুন্দর সাজানো শিমুল বাগানের ভেতর দিয়ে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। যখন গাছগুলোতে লাল ফুল ফুটে থাকে, তখন তো আরও বেশি অসাধারণ দেখায়!

যেহেতু এখন বর্ষাকাল, তাই ফুল নেই। তবে আমরা ঘোড়ায় চড়ার একটা রাইড ট্রাই করি। বিসমিল্লাহ!

এখানে ব্যালেন্স ধরে রাখা একটু কঠিন। যারা আগেও দু-একবার ঘোড়ায় উঠেছে, তারা ভালোভাবে সামলাতে পারবে। কিন্তু আমার জন্য একটু কঠিন লাগছে।

এটাই শিমুল বাগানের মজা! এখান থেকে জাদুকাটা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, পাশেই শিমুল বাগান। চাইলে ঘোড়ায় চড়ার অভিজ্ঞতাও নেওয়া যায়।

এ ব্রাদার! দাঁড়ান, ঘোড়া ঢুকে গেছে! ঘোড়া কথা শুনছে না, একবার দৌড়াচ্ছে, আবার থেমে যাচ্ছে। রাজকুমারের মতো কথা শুনছে না একদম! ওরা নিজের মতো চলছে, অলস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, দৌড়াতেও চাচ্ছে না!

যাই হোক, ছোটখাটো বিনোদন হিসেবে এটা বেশ ভালো লাগবে। একশো টাকা নেবে, চাইলে আপনিও ঘোড়ায় চড়তে পারেন।

এই মুহূর্তে আমি দাঁড়িয়ে আছি শিমুল বাগানের সবচেয়ে সুন্দর একটি ভিউ পয়েন্টে। এখান থেকে একসঙ্গে জাদুকাটা নদী এবং শিমুল গাছ দেখা যায়। অসাধারণ একটি দৃশ্য তৈরি হয়েছে এখানে!

এই যে, দেখতে পাচ্ছেন? এটি জাদুকাটা নদী। পাশেই মেঘালয়ের পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে, এক দারুণ দৃশ্য!

শিমুল বাগানে সকাল কাটিয়ে এবার আমাদের গন্তব্য এই ট্রিপের সবচেয়ে সুন্দর ও শেষ স্থান—জাদুকাটা নদী।

তবে তার আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করি হাওর ট্রিপের অন্যতম আকর্ষণ হাউসবোটগুলো কীভাবে সহজে রিজার্ভ করবেন।

বুকিংয়ের জন্য বেশ কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তবে আমার কাছে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের তুলনায় “রিজার্ভ বিডি” সহজ মনে হয়েছে। এখানে আপনার বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৯টিরও বেশি হাউসবোট পাবেন।

বুকিং করাও খুব সহজ! “reservebd.com” ওয়েবসাইটে গিয়ে উপরের ক্যাটাগরি থেকে বোট সিলেক্ট করুন। চেক-ইন ও চেক-আউটের তারিখ দিয়ে সার্চ করলেই আপনার পছন্দের হাউসবোট পেয়ে যাবেন।

মাত্র ৪,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির লাক্সারি হাউসবোট পাওয়া যায়!

শিমুল বাগান থেকে জাদুকাটা নদী যাওয়ার এই পথটুকু দেখে আপনি সত্যিই অবাক হয়ে যাবেন! কিছুক্ষণের জন্য মনে হতে পারে, এ যেন আমার দেখা এক অন্যরকম মাত্রাভূমি। নিজের অজান্তেই হারিয়ে যাবেন পাহাড় আর নীল জলরাশির এই মিতালী-মায়ায়।

আমরা দেখতে দেখতে জাদুকাটা নদীর একদম মাঝখানে চলে এসেছি। আমাদের নৌকাটি এখন ওই পাশে নোঙর করা হবে। নৌকা নোঙর করুক, তারপর আমরা আপনাদের চারপাশের একটি এরিয়াল ভিডিও দেখানোর চেষ্টা করব।

এরই মধ্যে আমাদের মাঝে চলে আসে সকালের স্ন্যাকস। স্ন্যাকস হাতে সবার সাথে জমপেশ আড্ডা দিতে দিতে আমরা পৌঁছে যাই আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য—জাদুকাটা নদীর ঘাটে।

আমাদের নৌকা ঘাটে এসে নোঙর করেছে। এখন আমরা নেমে যাব জাদুকাটা নদীতে। অলরেডি নেমেও গেছি! এবার একটু ভেতরে পানিতে যাব। এই পাশে পানিগুলো একটু ঘোলা, আর ওই পাশে পানিগুলো নীল। যেহেতু ওদিকের গভীরতা বেশি, তাই আমরা এখন ওদিকেই যাব।

চলুন, আপনাদের মাঝে আজকে জাদুকাটা নদীর সৌন্দর্যটা তুলে ধরার চেষ্টা করি!

সত্যি কথা বলতে, গত দুই দিনের যাত্রার ক্লান্তি মুহূর্তেই ভুলে যাবেন। ঢাকা থেকে আসার পর, তার আগের রাতের যাত্রা, সব ক্লান্তি এক নিমেষেই উধাও হয়ে যাবে জাদুকাটা নদীর স্বচ্ছ ঠান্ডা পানিতে!

এত ঠান্ডা পানি যে ক্লান্তি একদম অনায়াসে চলে যাবে। তাই অবশ্যই জাদুকাটা নদীতে একবার গোসল করে যাবেন!

জাদুকাটা নদীর স্বচ্ছ পানিতে বেশ খানিকক্ষণ দাপাদাপি করে এবার আমাদের গন্তব্য সুনামগঞ্জ। ইতোমধ্যেই আমরা এই ট্রিপের সব জনপ্রিয় পর্যটন স্পট ঘুরে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি।

মনে আছে, ভিডিওর শুরুতে বলেছিলাম—হাওর ট্রিপ মানেই খাওয়া-দাওয়া? তাই ঘুরাঘুরি শেষ হলেও, খাওয়া-দাওয়া এখনো শেষ হয়নি!

পরিশেষ

সুনামগঞ্জ যাওয়ার পথে এই ট্রিপের পাঁচবেলার মূল খাবারের সর্বশেষ আপ্যায়ন চলে এসেছে। দুপুরের খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে ছিল সুস্বাদু পায়েস! সব মিলিয়ে মাত্র ৪,৫০০ টাকায় এই ট্রিপটি আমার কাছে একদমই “ভ্যালু ফর মানি” মনে হয়েছে। সর্বোপরি, দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলেই নয়! যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমাদের এই ট্রিপটি হয়ে উঠেছে একদম স্বস্তির বিষয়।

Previous Post

নিকলী হাওর ভ্রমণ এক দিনেই: কম খরচের ট্যুর প্লান

Next Post

ESP32 Camera Module ব্যবহার করে মিনি ওয়াইফাই ক্যামেরা তৈরি করার সহজ পদ্ধতি

শিক্ষা ও ভ্রমণ ডেক্স

শিক্ষা ও ভ্রমণ ডেক্স

Related Posts

নিকলী হাওর ভ্রমণ এক দিনেই: কম খরচের ট্যুর প্লান
ভ্রমণ গাইড

নিকলী হাওর ভ্রমণ এক দিনেই: কম খরচের ট্যুর প্লান

by শিক্ষা ও ভ্রমণ ডেক্স
মার্চ ৪, ২০২৫
বাংলাদেশ ভ্রমণ: ১০টি চমৎকার পর্যটন স্থান
ভ্রমণ গাইড

বাংলাদেশ ভ্রমণ: ১০টি চমৎকার পর্যটন স্থান

by শিক্ষা ও ভ্রমণ ডেক্স
মার্চ ৩, ২০২৫
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ ১ দিনে – মাত্র ১৩৬০ টাকায় – Dhaka to Sreemangal Tour One Day  2025
ভ্রমণ গাইড

শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ ১ দিনে – মাত্র ১৩৬০ টাকায় – Dhaka to Sreemangal Tour One Day 2025

by শিক্ষা ও ভ্রমণ ডেক্স
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫
সুন্দরবন করমজল ভ্রমণ একদিনে – Sundarban Koromjol Tour from Dhaka 1 Day
ভ্রমণ গাইড

সুন্দরবন করমজল ভ্রমণ একদিনে – Sundarban Koromjol Tour from Dhaka 1 Day

by শিক্ষা ও ভ্রমণ ডেক্স
জানুয়ারি ৩১, ২০২৫
কন্যাকুমারী - তিন সাগরের মোহনায় দেখা মেলে তিন রঙের জলের ধারা
ভ্রমণ গাইড

কন্যাকুমারী – তিন সাগরের মোহনায় দেখা মেলে তিন রঙের জলের ধারা

by শিক্ষা ও ভ্রমণ ডেক্স
জানুয়ারি ২৭, ২০২৫
Next Post
ESP32 Camera Module ব্যবহার করে মিনি ওয়াইফাই ক্যামেরা তৈরি করার সহজ পদ্ধতি

ESP32 Camera Module ব্যবহার করে মিনি ওয়াইফাই ক্যামেরা তৈরি করার সহজ পদ্ধতি

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recommended

মাটির নিচে পানি বা ভূগর্ভস্থ পানি রহস্য – Groundwater and Aquifer

মাটির নিচে পানি বা ভূগর্ভস্থ পানি রহস্য – Groundwater and Aquifer

জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
শনি গ্রহ, বলয়, উপগ্রহ ও ক্যাসিনি হাইগেনস মিশন

শনি গ্রহ, বলয়, উপগ্রহ ও ক্যাসিনি হাইগেনস মিশন

ডিসেম্বর ১০, ২০২৪

Categories

  • ইলেকট্রিসিটি
  • এআই প্রযুক্তি
  • টিউটোরিয়াল
  • প্রযুক্তি টিপস্
  • প্রাকৃতি ও জীবন
  • ভ্রমণ গাইড
  • শিক্ষা সংবাদ
  • সাম্প্রতিক আপডেট
  • সৌর জগত
  • স্বাধীন বাংলা

Don't miss it

এআই যুগে টিকে থাকতে শিখতে হবে ৫ স্কিল – Learn 5 Essential Skills to Survive in the Age of AI
এআই প্রযুক্তি

এআই যুগে টিকে থাকতে শিখতে হবে ৫ স্কিল – Learn 5 Essential Skills to Survive in the Age of AI

এপ্রিল ১২, ২০২৫
ফ্রি এবং সেরা Ai Video Generator দিয়ে তৈরি করুন ছবি থেকে ভিডিও
এআই প্রযুক্তি

ফ্রি এবং সেরা Ai Video Generator দিয়ে তৈরি করুন ছবি থেকে ভিডিও

মার্চ ৮, ২০২৫
ESP32 Camera Module ব্যবহার করে মিনি ওয়াইফাই ক্যামেরা তৈরি করার সহজ পদ্ধতি
প্রযুক্তি টিপস্

ESP32 Camera Module ব্যবহার করে মিনি ওয়াইফাই ক্যামেরা তৈরি করার সহজ পদ্ধতি

মার্চ ৭, ২০২৫
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ এর আদ্যোপান্ত: ৪৫০০ টাকায় শুরু থেকে শেষ
ভ্রমণ গাইড

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ এর আদ্যোপান্ত: ৪৫০০ টাকায় শুরু থেকে শেষ

মার্চ ৫, ২০২৫
নিকলী হাওর ভ্রমণ এক দিনেই: কম খরচের ট্যুর প্লান
ভ্রমণ গাইড

নিকলী হাওর ভ্রমণ এক দিনেই: কম খরচের ট্যুর প্লান

মার্চ ৪, ২০২৫
বাংলাদেশ ভ্রমণ: ১০টি চমৎকার পর্যটন স্থান
ভ্রমণ গাইড

বাংলাদেশ ভ্রমণ: ১০টি চমৎকার পর্যটন স্থান

মার্চ ৩, ২০২৫
নৈপুণ্য

Authentic and Real-time educational information provider platform for you

Learn more

Categories

  • ইলেকট্রিসিটি
  • এআই প্রযুক্তি
  • টিউটোরিয়াল
  • প্রযুক্তি টিপস্
  • প্রাকৃতি ও জীবন
  • ভ্রমণ গাইড
  • শিক্ষা সংবাদ
  • সাম্প্রতিক আপডেট
  • সৌর জগত
  • স্বাধীন বাংলা

Browse by Tag

AI AI Tools Bangladesh Travel ChatGPT DSHE Generative AI Half Yearly Routine NCTB New Carriculam SHED Travel অষ্টম শ্রেণি মূল্যায়ন টুলস ২০২৪ আজকের খবর আপডেট নিউজ এআই কারেন্সি রেট চ্যাটজিপিটি জনপ্রশাসন টাকার দাম ডিপসিক দৈনিক শিক্ষা নতুন কারিকুলাম মূল্যায়ন নবম শ্রেণি মূল্যায়ন টুলস ২০২৪ নিকলী হাওর ভ্রমণ নৈপুণ্য পিসি টিপস বাংলাদেশ বাংলাদেশ ভ্রমণ বাংলাদেশের ইতিহাস বিজ্ঞান শিক্ষা ভ্রমণ গাইড মহাবিশ্ব মুদ্রা বিনিময় হার শিক্ষা সংবাদ ষষ্ঠ শ্রেণি মূল্যায়ন টুলস ২০২৪ সংস্কার প্রতিবেদন সপ্তম শ্রেণি মূল্যায়ন টুলস ২০২৪ সিলেবাস

© 2025 Naipunno - Education and Technology Tips Hub by SoftDows.

No Result
View All Result
  • নৈপুণ্য অ্যাপ
  • লগইন
  • যোগাযোগ

© 2025 Naipunno - Education and Technology Tips Hub by SoftDows.