ছবি থেকে ভিডিও বানিয়ে ইতমধ্যেই অনেকেই সোস্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং এ আছে। আপনি চাইলে Ai Video Generator দিয়ে যেকোন ছবিকে ভিডিওতে কনভার্ট করে নিতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হলো যতগুলো এই রকম টুলস্ আছে তার প্রায় সবগুলোই পেইড এবং হাই প্রাইস এর।
এর সমাধান করবো আজ। এখানে আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করবো কোন এআই ভিডিও জেনারেটর দিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভালো মানের AI Video জেনারেট করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
Ai Video Generator (এআই ভিডিও জেনারেটর)
এই ভিডিওর আগামী ১৫ মিনিট আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, কারণ এই ভিডিওতে আমরা দেখবো কিভাবে এরকম ইমেজ থেকে এরকম ইয়ং জেনারেশন ভিডিও তৈরি করা যায় বা আপনি টেক্সট থেকেও এ ধরনের ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
কিন্তু কথা হচ্ছে, এই ধরনের টুলগুলো সাধারণত পেইড হয়ে থাকে, তাই আজকের ভিডিওতে আমরা সে সমস্ত ফ্রি টুলগুলো দেখবো যার মাধ্যমে আপনি অসাধারণ কোয়ালিটির ইয়ার্কি ভিডিও দিয়ে বিভিন্ন অটোমেশন চ্যানেল রান করতে পারবেন, লাইটঢোঁক, মেন্টারি, শর্টস বা অন্য কিছু।
ইমেজ জেনারেশন করা যতটা সোজা, এইআই দিয়ে ফ্রি যত এক্সাইট রয়েছে, ঠিক উল্টোটা হচ্ছে ভিডিও জেনারেশনের বেলায়। আমরা কিন্তু বেশ কিছু ইমেজ জেনারেশন টুল ফ্রিতে পেলেও, ভিডিও জেনারেশন করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাই, কারণ ফ্রি টুলগুলোর ভালো কোয়ালিটি একদমই নেই।
আজকের ভিডিওতে আমি আপনাদেরকে দেখাবো টপ ফ্রি ভিডিও জেনারেশন টুল। এগুলোর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই ভিডিও জেনারেট করতে পারবেন এবং এই চ্যানেলটির মতো ইমেজ টু ভিডিও থেকে মুভির ট্রেইলার তৈরি করতে পারবেন। এই চ্যানেলটি শুধুমাত্র ইমেজ থেকে ভিডিও তৈরি করে ইউএস অডিয়েন্স টার্গেট করে প্রচুর ডলার আয় করে থাকে। এছাড়া, শর্টস চ্যানেল বানিয়েও প্রচুর সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউ পেতে পারেন।
আপনারা আর্ট ক্যাটাগরির মতো ইমেজ থেকে ভিডিও জেনারেট করে স্টোরি চ্যানেল বানাতে পারেন অথবা মহাভারতের মতো ইসলামিক চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। ইনস্টাগ্রাম মডেল ব্যবহার করে আপনি ইনস্টাগ্রাম পেজের পাশাপাশি ইউটিউব চ্যানেলেও ঠিক এই চ্যানেলটির মতো ভিডিও তৈরি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, মাত্র ১১টি ভিডিওতেই সেই চ্যানেলের ২০০০ সাবস্ক্রাইবার হয়েছে, এবং মাত্র ১ মাস হলো সে ভিডিও আপলোড করা শুরু করেছে। সুতরাং, এই ধরনের ভিডিও তৈরি করতে যেসব ইমেজ টু ভিডিও জেনারেটর বা টেক্সট টু ভিডিও জেনারেটর দরকার হয়, তার সবকিছুই আজকে বিস্তারিতভাবে দেখাবো।
ভিডিওর শেষে আমরা ফাইনালি ডিসাইড করবো, এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো টুল কোনটি এবং কোনটি সবচেয়ে ভালোভাবে ফ্রি ভিডিও জেনারেট করতে পারে। আর যারা বড়লোক, তাদের কথা তো আলাদা!
হ্যালো, হন্তরমশাই! যাই হোক, আমরা এখন ভিডিওতে চলে যাবো, কিন্তু তার আগে, যদি চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে সাবস্ক্রাইব করে দিন এবং ভিডিওতে একটি লাইক দিয়ে দিন।
লেটস রোল!
দর্শক, আপনাদের দেখানোর জন্য আমি যা করেছি তা হলো, একটি ইমেজ চ্যাটজিপিটিতে আপলোড করেছি। তারপর তাকে লিখেছি যে ৫ সেকেন্ড বা ১ সেকেন্ডের একটি ব্রোল ডিসিমেজ তৈরি করতে। এরপর সে আমাকে এই প্রম্পট দিয়েছে।
এটি মূলত ইমেজ থেকে ভিডিও জেনারেশনের একটি প্রম্পট। এরপর আমি একটি নেগেটিভ প্রম্পট চেয়েছি এবং সেভাবে সে আমাকে একটি নেগেটিভ প্রম্পটও দিয়েছে। এখন এই প্রম্পট ব্যবহার করে আমরা খুব সহজেই ইমেজ থেকে ভিডিও তৈরি করতে পারবো।
এই পুরো ভিডিও দেখলে আপনারা এই ফাইলটি পেয়ে যাবেন। ভিডিওর যেকোনো একটি জায়গায় আমি এই ফাইলটির লিংক দেবো। এটি পেলে আপনারা সঠিকভাবে প্রম্পটিংয়ের মাধ্যমে একটি ইমেজ থেকে ভিডিও তৈরি করতে পারবেন এবং যা যা চাচ্ছেন ঠিক সেটাই রেজাল্ট হিসেবে পেয়ে যাবেন। এই সেলফাইল থেকে আপনারা পারফেক্ট সিস্টেমটি শিখতে পারবেন।
আমি ভিডিওতে যে আলোচনা করেছি, তা ছাড়াও ইমেজ ক্লাস ভিডিও জেনারেশনসহ সবগুলোর লিংক ও সমস্ত ফ্যাসিলিটিজ একদম ডিটেইলসে দেওয়া আছে। সেই সেলফাইলটি আপনাদেরকে দেবো, তাই মিস করতে না চাইলে পুরো ভিডিওটি মনোযোগ দিয়ে দেখুন।
এখন আমি প্রতিটি সাইটে এই ইমেজটি ব্যবহার করে আপনাদের দেখাবো। তাহলে সবগুলোর রেজাল্ট কম্পেয়ার করে আমরা সহজেই বুঝতে পারবো, কোনটি সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে।
আমাদের প্রথম টুলটি হলো “Luma Dream Machine“। ভিডিওর ডিসক্রিপশনে থাকা লিংকে ক্লিক করে আপনারা এই ওয়েবসাইটে চলে আসবেন। এখানে আমি আগে কিছু ভিডিও জেনারেট করেছিলাম, সেগুলো দেখাচ্ছে।
এখানে আপনাদের প্রম্পট লেখার জায়গা রয়েছে, সুতরাং আপনাদের প্রম্পটটি এখানে পেস্ট করে দিতে হবে। আমি আমাদের প্রম্পটটি এখানে পেস্ট করছি, সাথে কাঙ্ক্ষিত ইমেজটিও সিলেক্ট করছি।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, “End Frame” সেট করতে পারবেন, অর্থাৎ, ফার্স্ট ফ্রেম থেকে শেষ ফ্রেম পর্যন্ত অ্যানিমেশন কেমন হবে তা নির্ধারণ করতে পারবেন। প্রথম ও শেষ ফ্রেম নির্ধারণ করলে সফটওয়্যারটি মাঝখানের অংশগুলোর জন্য স্বয়ংক্রিয় অ্যানিমেশন তৈরি করে দেবে।
সুতরাং, আমরা এখন ভিডিও অপশনে ক্লিক করছি। যেহেতু ইমেজের রেশিও ৪:৩, তাই এটি সেট করা হয়েছে, তবে আপনার ইমেজ অনুযায়ী ৯:১৬ বা ১৬:৯ ও ব্যবহার করতে পারেন।
এবার, আমরা ভিডিও জেনারেশনের জন্য ক্লিক করলাম। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আমাদের ভিডিও জেনারেশন প্রসেস শুরু হয়ে গেছে।
এখন প্রশ্ন হলো, Luma Dream Machine-কে আনলিমিটেডভাবে কিভাবে ব্যবহার করবেন? এর জন্য, এখানে দেখুন, ৪০০ ক্রেডিট মানেই আপনারা ৬০টি ইমেজ এবং ৪টি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
যদি আপনার ক্রেডিট শেষ হয়ে যায়, তাহলে একাউন্ট ডিলিট করে নতুন জিমেইল দিয়ে পুনরায় একাউন্ট খুলুন। তাহলেই আনলিমিটেডভাবে ভিডিও ও ইমেজ জেনারেট করতে পারবেন।
আরও দেখুনঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence কি, ইতিহাস, ভবিষ্যৎ ও কর্মপরিধি
আমাদের ভিডিওটি ইতিমধ্যে জেনারেট হয়ে গেছে! এখানে ক্লিক করে এটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এটি হলো Luma Dream Machine-এর রেজাল্ট।
এরপর আমাদের দ্বিতীয় টুলটির নাম হলো “Runway.ml”—যার সাথে হয়তো আপনারা অনেকেই পরিচিত।
রানওয়েতে আমরা দেখতে পাবো, ফ্রিতে ১২৫টি ক্রেডিট রয়েছে। এটি ব্যবহার করে ২৫ সেকেন্ড পর্যন্ত ভিডিও জেনারেট করা যায়।
এর ডিসক্রিপশনে থাকা লিংকে ক্লিক করে আপনারা এখানে চলে আসবেন। তারপর এখান থেকে ইমেজ সিলেক্ট করার অপশন পাবেন। এখান থেকে জাস্ট ড্র্যাগ-অ্যান্ড-ড্রপ অথবা ইমেজটি সিলেক্ট করে দিন। এখানে আমি অলরেডি আমার ইআই জেনারেটেড মুভি ট্রেইলার ভিডিওর জন্য অনেকগুলো ম্যাচ থেকে ভিডিও তৈরি করেছিলাম।
সুতরাং, আমাদের ইমেজটি এখানে আপলোড করতে হবে, তারপর এটাকে ক্রপ করে ডিসপ্লে সাইজ অনুযায়ী ম্যাচ করে নিতে হবে। এরপর মৌসুমের জন্য যে প্রম্পট চ্যাটজিপিটি থেকে নিয়েছেন, সেটা এখানে পেস্ট করে দিন। তারপর এখানে টার্গেট মোড সিলেক্ট করুন। প্রথমে জেনারেশনের জন্য আমরা ৩ সেকেন্ড বা ৫ সেকেন্ডের ডিউরেশন সেট করে দিতে পারি। এরপর শুধু “Generate” ক্লিক করুন।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের ভিডিওটি জেনারেট হতে শুরু করেছে। এটি এখন রেডি হওয়া শুরু হবে। দ্রুত জেনারেট হওয়ার কারণ হলো, সর্বোচ্চ সেটিংস সিলেক্ট করা হয়েছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আমাদের ক্রেডিট সংখ্যা মাইনাস হয়ে এখন ৭৫ এ নেমে এসেছে। আমাদের ভিডিওটি তৈরি হয়ে গেছে। এরপর শুধু এখানে ক্লিক করে ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিন।
এরপর আমাদের ওয়েবসাইট হচ্ছে “Vidyo.ai”। এটি ভারতে অনেক বেশি জনপ্রিয়। টেম্প মেইল ব্যবহার করে খুব সহজেই এখানে একাউন্ট খুলতে পারবেন। প্রথমবার একাউন্ট খুললে কিছু ফ্রি ক্রেডিট পাবেন, যার মাধ্যমে ৪ সেকেন্ড পর্যন্ত ভিডিও জেনারেট করা যাবে। এছাড়া, হাই-রেজুলেশন আপস্কেল এবং অন্যান্য ফিচারও ব্যবহার করতে পারবেন।
টেম্প মেইল ব্যবহারের কারণে এটি আনলিমিটেড সময়ের জন্য ভিডিও জেনারেট করতে পারবে। এটির ভিডিও কোয়ালিটি আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। এখানে ইমেজ-টু-ভিডিও অপশনে ক্লিক করুন। আমি এখানে একইভাবে একটি ইমেজ থেকে ভিডিও তৈরি করেছি। এরপর ইমেজ আপলোড করুন, প্রম্পট দিন এবং ৪ সেকেন্ড বা ৮ সেকেন্ডের ডিউরেশন সিলেক্ট করুন। তারপর মিডিয়াম মুভমেন্ট সেট করুন, “Create” ক্লিক করুন, এবং ভিডিওটি তৈরি হয়ে যাবে।
যদি টেক্সট থেকে ভিডিও তৈরি করতে চান, তাহলে একইভাবে টেক্সট প্রম্পট দিন এবং “Create” ক্লিক করুন। এখানে রেফারেন্স টু ভিডিওও আছে। এটি মূলত “Dream Machine”-এ দেখানো সেটআপের মতো।
এখানে প্রথমে ইমেজের পজিশন দিন, তারপর মাঝখানে একটি ট্রানজিশন অ্যাড করুন, এবং শেষে আরেকটি ইমেজ দিন। এতে আপনার ভিডিওটি ধারাবাহিকভাবে সুন্দরভাবে জেনারেট হবে।
আমাদের ভিডিওটি তৈরি হয়ে গেছে। এখন এটি ডাউনলোড করছি। এটি আমাদের চূড়ান্ত ফলাফল।
এখন আপনাদেরকে যে সাইটটি দেখাবো, সেটি হচ্ছে পিকা। পিকার ডিসক্রিপশনে থাকা লিংকে ক্লিক করে এখানে চলে আসার পর, আপনারা এই জায়গায় পৌঁছে যাবেন। এরপর আমরা পিকা ল্যাবসে চলে আসবো। সেখানে আসার পর, ডিসক্রিপশনে প্রম্পট লিখে দেবো।
এরপর আমাদের কাঙ্ক্ষিত ইমেজটি সিলেক্ট করবো। তারপর, যে স্ট্যান্ডার্ড সাইজ রয়েছে, সেটি ঠিকঠাকভাবে লিখে নেবো। যেহেতু আমাদের ইমেজের সাইজ একটু স্কয়ার শেপের, তাই আমরা ৪.৫ রেশিও সিলেক্ট করছি। প্লাস, এখানে কিছু নেগেটিভ প্রম্পট দরকার। এজন্য, শুধু “Write Negative Prompt” লিখলেই, GPT আপনাদের জন্য নেগেটিভ প্রম্পট তৈরি করে দেবে। এরপর, সেটি কপি করে এনে পিকা ল্যাবসের নির্দিষ্ট স্থানে পেস্ট করবেন। তারপর “Apply” ক্লিক করবেন এবং এখান থেকে “Generate Image” অপশনে ক্লিক করবেন।
এরপর, “My Library” তে চলে আসবেন। লাইব্রেরিতে আসলে, আপনারা দেখতে পাবেন যে ভিডিওটি জেনারেশন প্রসেস শুরু হয়ে গেছে। এখানে মাসিক ১৫০টি ক্রেডিট পাওয়া যাবে। এটি বিভিন্ন মডেল সমর্থন করে, যার প্রতিটি মডেলের ভিন্ন ভিন্ন খরচ রয়েছে। যেমন, ২.০ মডেল ব্যবহার করলে এরিয়ান্স ফিচার সক্রিয় হয়। তবে, এই ফিচার ব্যবহারের জন্য প্রতিটি ভিডিওর জন্য ১০০টি ক্রেডিট প্রয়োজন হবে।
এটি নির্ভর করবে আপনি কোন স্টাইল এবং কোন ফিচার ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করতে চান। ভিডিও তৈরি হয়ে গেলে, শুধু “Download” অপশনে ক্লিক করে ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এরপর আমাদের যে টুলটি রয়েছে, সেটি হচ্ছে “Student”। নতুন একাউন্ট খুললে, আরও ১৫০টি টোকেন পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে, ৯০টি ক্রেডিট পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে প্রায় তিনটি ভিডিও জেনারেট করা সম্ভব। প্রতিটি ভিডিওর জন্য ৩০টি ক্রেডিট ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, ডেইলি ক্রেডিট হিসেবে এখানে প্রতিদিন ৭টি করে ক্রেডিট পাওয়া যায়, যা দিয়ে দৈনিক দুটি ভিডিও তৈরি করা সম্ভব।
সুতরাং, আমরা যদি দুটি একাউন্ট ব্যবহার করি, তাহলে সহজেই বেশ কিছু ভিডিও তৈরি করা যাবে। আমি আগেও এই টুল ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করেছি, আপনারা সেটি দেখতে পাচ্ছেন।
আজ আমি যেটি করেছি, সেটি হলো, ফোন দিয়ে শুধু টেক্সট ফর্ম দিয়েছি, কোনো ইমেজ নয়। এখানে লিখেছি: “A rural Indian village, an old man working through eerie weather, and holding an old lantern.” ফলে, আমরা একটি উপযুক্ত ভিডিও পেয়েছি।
আপনি চাইলে এটাকে এক্সপোর্ট করতে পারবেন, এতে কণ্ঠ সংযোজন করতে পারবেন, এবং অডিও সিঙ্ক করতে পারবেন। এছাড়া, এখান থেকে সহজেই ভিডিও ডাউনলোড করা সম্ভব।
এখানে আমি একটি বিষয় লক্ষ করেছি, সেটি হলো, মোবাইল দিয়ে কাজ করলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না, কিন্তু পিসি দিয়ে করতে গেলে “Duty Hide Mode” নামে একটি অপশন দেখাচ্ছে। আমি জানি না এটি কেন হচ্ছে, তবে ফোন দিয়ে কাজটি খুব সহজেই করা যাচ্ছে।
যারা ফোন ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এটি আরও বেশি সহায়ক হবে। সুতরাং, আপনার ফোন দিয়ে ঠিক একই উপায়ে ভিডিও জেনারেট করতে পারবেন।
এরপরের ওয়েবসাইটটি হচ্ছে “Heliod.ai”। ডিসক্রিপশনে থাকা লিংকে ক্লিক করে এখানে চলে আসবেন। এরপর, “Create” অপশনে ক্লিক করবেন। আমি ইতোমধ্যে এখানে কিছু ভিডিও জেনারেট করেছি। আপনি একটি নমুনা দেখতে পাচ্ছেন। আমি এখানে একটি ইমেজ-টু-ভিডিও তৈরি করে দেখাচ্ছি।
এতে একসাথে সবকিছু সহজেই সমাধান হয়ে যাবে। আমি এই ম্যাচটি বেছে নিচ্ছি এবং এখানে প্রম্পট যোগ করবো। যে রেগুলার প্রম্পট রয়েছে, সেটি কপি করে এখানে পেস্ট করবো। এরপর, আপনি চাইলে এটি রিফাইন করতে পারবেন।
এরপর, আমরা “Generate” বাটনে ক্লিক করবো। আমাদের ভিডিও জেনারেশন প্রসেস শুরু হয়ে যাবে। এটি আমরা ২D বা এনিমে ক্যারেক্টারের জন্য ব্যবহার করতে পারি। এছাড়া, এটি রিয়েলিস্টিক সিনেমাটিক এজের জন্য উপযোগী, বিশেষ করে জিমের মতো ভিডিও তৈরি করতে চাইলে এটি ব্যবহার করা যাবে।
আমাদের ভিডিওটি প্রসেসিং শুরু হয়ে গেছে। প্রতিটি ভিডিওর জন্য ৩০টি টোকেন লাগে এবং প্রতিদিন ১০০টি টোকেন ফ্রি পাওয়া যায়। অর্থাৎ, প্রতিদিন প্রায় তিনটি ভিডিও জেনারেট করা সম্ভব। চাইলে একাউন্ট লগআউট বা ডিলিট করে নতুন একাউন্ট তৈরি করেও আরও ভিডিও তৈরি করা যাবে।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আমাদের ভিডিওটি রেডি হয়ে গেছে। এখন শুধু এটিকে ডাউনলোড করতে হবে। আমাদের প্রম্পট ছিল—একটি জঙ্গলের মধ্যে একজন ট্রাইবাল ওয়ারিয়র ডাইনোসরের ওপর রাইড করছে, কাছের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো প্রবেশ করছে, ক্যামেরা তাকে ফলো করছে, এবং তার পাশেই একটি পিরামিড বা মন্দিরের মতো কিছু দেখা যাচ্ছে।
দেখুন, এটি একেবারে সঠিকভাবে আমাদের চাওয়া অনুযায়ী ভিডিও জেনারেট করেছে। কোয়ালিটি অসাধারণ! এখন শুধু ক্লিক করে ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিন।
এরপর, আমাদের সবচেয়ে বিশেষ আরেকটি ওয়েবসাইট হচ্ছে “Klinia”। ক্লিনিয়ার একটি বিশেষ সফটওয়্যার রয়েছে, যা নিয়ে আমার সম্পূর্ণ বিস্তারিত একটি ভিডিও রয়েছে। তাই এখানে বেশি কিছু দেখাবো না, শুধু রেজাল্ট দেখাবো।
এখানে শুধু ইমেজটি ড্র্যাগ-অ্যান্ড-ড্রপ করবো। এরপর, প্রম্পটটি কপি করে এখানে পেস্ট করবো। এরপর, আমরা ৩ সেকেন্ডের জন্য একটি ভিডিও সেট করবো। তারপর, নেগেটিভ প্রম্পট যোগ করবো এবং ৫ সেকেন্ডের জন্য প্রফেশনাল মোড ব্যবহার করবো।
এরপর, “Generate” ক্লিক করবো এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবো। আগের মতো বেশি সময় লাগছে না, যেখানে ক্লিনিয়াতে আগে অনেক বেশি সময় লাগতো। এখন এটি দ্রুত জেনারেট হচ্ছে।
এরপর, শুধু “Download” অপশনে ক্লিক করে ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিন।
ফাইনাল তুলনায়, রানওয়ে, ভিডিও, লুমা, এবং পিকার মধ্যে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত ভিডিওটি দিয়েছে “Runway”।
এবং সবচেয়ে আনসার এবং গোলাটে টাইপের যে ভিডিওটি, সেটি হচ্ছে “VidU”। এরপর আসে “Pika Labs”। এবার বলি, সবচেয়ে ভালো মোশন কোনটি দিয়েছে? এখানে সবচেয়ে ভালো মোশন দিয়েছে “Pika Labs”। এটি একদম প্রম্পটকে ঠিকভাবে অনুসরণ করেছে এবং যা যা লেখা হয়েছে, ঠিক সেটাই তৈরি করেছে।
কিন্তু “Luma” ক্যামেরা মুভমেন্টকে খুবই সাধারণভাবে সাইডওয়াইজ মুভ করিয়েছে, আর কিছুই করেনি। তবে, ভিডিওটি যথেষ্ট ভালো কাজ করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, এটি ফ্রি। এটি মাথায় রাখা দরকার যে, যদি পেইড প্ল্যান নেওয়া হয়, তাহলে আরও সংক্ষিপ্ত এবং বিস্তারিত ভিডিও পাওয়া যাবে, যা ফ্রি ভার্সনে সম্ভব নয়।
এবার যদি “Runway” এর সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে এটি সবচেয়ে শার্প এবং বিস্তারিত ভিডিও দিয়েছে। তবে, সমস্যা হলো এটি প্রম্পটকে পুরোপুরি অনুসরণ করেনি। যদি আরও ভালো প্রম্পট ব্যবহার করা যেত, তাহলে 4GB টির একটি ভালো প্রম্পট নিয়ে আরও নিখুঁত মৌসুমের ভিডিও তৈরি করা যেত।
এখানে মৌসুমের কিছু কমতি ছাড়া, সবদিক থেকে “Runway” ভালো ছিল। তবে, প্রম্পট অনুসরণের দিক থেকে “Pika Labs” সবচেয়ে ভালো কাজ করেছে। এটি মাথায় রাখতে হবে। “Pika” -তে বিস্তারিততা কিছুটা কম থাকলেও এটি পরিচালনার জন্য যথেষ্ট কার্যকর।
যদি এটি “SDXL Mode”-এ চালানো হয়, তাহলে ভিডিওটি খুব সহজেই আরও ভালো করা সম্ভব। এখন চূড়ান্তভাবে বলতে গেলে, দুটি ওয়েবসাইটের মধ্যে সেরা হচ্ছে “Klinia” এবং “Heliod.ai”।
“Heliod” এবং “Klinia” এর রেজাল্ট মোটামুটি একই। তবে এখন দেখার বিষয় হলো, সবচেয়ে 60FPS এবং ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ভিডিও তৈরি করেছে কোনটি? এটি করেছে “Klinia”। এটি পুরোপুরি প্রম্পট অনুসরণ করেছে।
যেমন, গাছের ফাঁক দিয়ে আলো পড়ছে, যোদ্ধা যুদ্ধ করছে, ডাইনোসরের মুভমেন্ট একদম নিখুঁত, এবং পিছনের টেম্পলের সামনে আগুন জ্বলছে। একইভাবে, যদি “Heliod” এর দিকে তাকাই, তাহলে ডাইনোসরের চলাচলটি আরও স্বাভাবিক হয়েছে।
এখানে আরও একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়—যখন ডাইনোসর মুভ করছে, তখন ক্যামেরাটি খুব সুন্দরভাবে প্যান করে পিছনের মন্দিরকে ফোকাস করেছে। “Klinia” তে যা করা হয়েছে, তা হলো—সাবজেক্টের মুখকে কিছুটা ব্লার করে, পিছনের মন্দিরকে আরও ফোকাস করা হয়েছে। এটি একদম সিনেমাটিক লুক এনেছে।
যদি কম্পোজিশনের দিক থেকে দেখি, তাহলে “Heliod” সাবজেক্টকে ফোকাস করেছে এবং নিজে থেকেই কিছুটা কাস্টমাইজ করে আরও উন্নত ভিডিও দিয়েছে।
সুতরাং, সবদিক বিবেচনা করলে “Klinia” আজকের ভিডিওর বিজয়ী। এর প্রধান কারণ হলো, এটি ফ্রি টোকেন সরবরাহ করে এবং উচ্চ রেজোলিউশনের ভিডিও ডাউনলোডের সুযোগ দেয়।
যদি “Heliod” এর দিকে তাকাই, তাহলে ভিডিওর কোয়ালিটি একটু কম মনে হয়েছে, তবে এটি প্রম্পটকে নিখুঁতভাবে অনুসরণ করেছে। “Heliod” প্রায় “Klinia” এর মতোই কাজ করেছে।
তবে, “Klinia” এর একটি সমস্যা ছিল—ভিডিও জেনারেট করতে অনেক সময় লাগত। তবে সাম্প্রতিক আপডেটের পর এটি দ্রুত কাজ করছে, এখন আর বেশি সময় লাগে না।
এই দুইটি টুল এখন পর্যন্ত বাজারে সেরা, কারণ “OpenAI” বা অন্য কোনো টুল এখনো এদের হারাতে পারেনি। সুতরাং, আপনারা আপনাদের উত্তর পেয়ে গেছেন।
আমি আশা করি, আপনাদের পুরো ভিডিওতে সঠিক তথ্য দিতে পেরেছি। এই ভিডিওটি তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে, অনেক গবেষণা করতে হয়েছে, এবং বিভিন্ন ভিডিও জেনারেট করতে হয়েছে।
সুতরাং, আশা করছি, অন্তত একটি কমেন্ট, লাইক বা শেয়ার করে আমাকে একটু অনুপ্রাণিত করবেন। আমরা আজকে টপ ৫ ভিডিও জেনারেশন টুল সম্পর্কে জানলাম।
একইভাবে, যদি ইমেজ জেনারেশন টুল সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে ডিসপ্লেতে দেখানো এই ভিডিওতে ক্লিক করুন এবং ভিডিওটি দেখে আসুন।
আপনাদের সাথে দেখা হবে পরবর্তী ভিডিওতে। ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম!