প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে সবচেয়ে সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যায় এমন দুর্যোগ সম্ভবত বন্যা। বন্যা কেন হয় এবং কোন বন্যা সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর এই নিয়ে যেকারও মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক কোনো একটি জলাধারের পানি যখন তার ধারণক্ষমতা অতিক্রম করে, তখন অতিরিক্ত পানি তুলনামূলক শুষ্ক জমিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং একেই বলা হয় বন্যা।
বন্যা আসলে কী, এটা সহজে বুঝতে পারলেও কেন বন্যা সংঘটিত হয়, এমন প্রশ্নের উত্তর আবার সহজভাবে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ বন্যা বিভিন্ন ধরনের এবং এক ধরনের বন্যার পেছনের কারণ এক রকম। তবে সব ক্ষেত্রেই অতিবৃষ্টি হচ্ছে প্রধানতম কারণ। এর বাইরেও মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে বন্যার তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
যে কোনো কারণেই বন্যা হোক না কেন, তা মানবজীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর সাথে রয়েছে অর্থনৈতিক এবং প্রাকৃতিক ক্ষতি। যদিও বন্যার কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। আজকের আলোচনায় বন্যার সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বলা হবে।
বন্যা কি? What is flood?
প্রাকৃতিকভাবেই পানি উঁচু স্থান থেকে নিচু স্থানে প্রবাহিত হয়, যার ফলে নদীর উৎপত্তিস্থল হচ্ছে পাহাড় কিংবা পর্বত এবং সমাপ্তিস্থল সাগর। পাহাড়-পর্বতে বৃষ্টি কিংবা বরফ গলার ফলে যে পানি তৈরি হয়, তা নদীর মাধ্যমে সাগরে প্রবাহিত হয়।

এখন যেকোনো নদীরই পানি ধারণ করতে পারার একটি সীমা রয়েছে। কোনো কারণে যদি নদীর ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি পানি নদীতে আসে, তখন অতিরিক্ত পানি শুষ্ক ভূমিকে প্লাবিত করে। ফলাফল, বন্যা।
অতিরিক্ত পানি মানে বন্যা হলেও সকল ক্ষেত্রে বন্যার চরিত্র এক রকম থাকে না। যার ফলে বন্যা কেমন আচরণ করছে কিংবা কেন বন্যা হলো, এর উপর ভিত্তি করে বন্যাকে বিভিন্ন ধরনের ভাগ করা যায়।
আরও পড়ুনঃ জেট ইঞ্জিন কি এবং কিভাবে কাজ করে
বন্যার প্রকারভেদ
তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হচ্ছে-
১. রিভার ফ্লাড,
২. ফ্ল্যাশ ফ্লাড এবং
৩. কোস্টাল ফ্লাড।
রিভার বা ফ্লুভিয়াল ফ্লাড
রিভার ফ্লাড বা নদী বন্যা মূলত দুটি কারণে সংঘটিত হয়ে থাকে। প্রথমত, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত। দ্বিতীয়ত, মাটির পানি শোষণ করতে পারার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া।

প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে মাটি পানি শোষণ করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে, যার ফলে ওই পর্যায়ে মাটি আর নতুন করে পানি শোষণ করতে পারে না। এমন অবস্থায়, অর্থাৎ একদিকে প্রচুর বৃষ্টি, তার ওপর মাটি পানি শোষণ করতে পারছে না, যার ফলে প্রচুর পরিমাণ পানি নদীতে আসে।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করি, সাধারণত বৃষ্টির পানি বড় স্থান জুড়ে পতিত হয়। তবে এই বড় স্থান জুড়ে পতিত পানি কিন্তু নদীতে এসে একসাথে হয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
এই বিষয়টি কেমন, তা আপনি ছাদের বৃষ্টি খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন। সম্পূর্ণ ছাদ জুড়ে বৃষ্টি হলেও বৃষ্টির পানি একটি পাইপ দিয়ে নিচে নামে, যার ফলে সেই পাইপে পানির প্রচুর চাপ থাকে।
ঠিক এই একই ঘটনা ঘটে নদীতে। বিশাল স্থান জুড়ে পতিত বৃষ্টির পানি নদীতে আসে। এমন ক্ষেত্রে পানি নদীর বিপদসীমা অতিক্রম করে শুষ্ক অঞ্চলকে প্লাবিত করে এবং একেই বলা হয় নদী বন্যা। নদী বন্যা তুলনামূলক দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে যত বড় বড় বন্যা হয়েছে, যেমন ১৯৮৮ সালের বন্যা, ১৯৯৮ সালের বন্যা—এগুলো মূলত নদী বন্যা। বাংলাদেশের ১৯৮৮ সালের বন্যায় প্রায় ৬০% এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছিল।

তবে বন্যার এই পানির মাত্র ২০% পানিই বাংলাদেশের বৃষ্টির ফলে এসেছিল। বাকি ৮০% পানির উৎস ছিল দেশের বাইরের স্থান, অর্থাৎ ভারত। বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয়, কারণ বাংলাদেশের বুকজুড়ে অনেক নদী রয়েছে। তবে প্রায় সবগুলো নদীরই মূল উৎপত্তিস্থল দেশের বাইরে।
অর্থাৎ আমরা নদীর নিম্নভূমিতে বসবাস করি, যার ফলে উঁচুভূমির বৃষ্টিপাত আমাদেরকে বেশি প্রভাবিত করে বা প্লাবিত করে। নদী বন্যা সাধারণত হুট করে আসে না, যার ফলে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সময় পাওয়া যায়।
বিশেষ আর্টিকেল: লজিক গেট Logic gates and How do they work
ফ্ল্যাশ ফ্লাড বা আকস্মিক বন্যা (Flash flood or Pluvial flood)
ফ্ল্যাশ ফ্লাড বা আকস্মিক বন্যা, যা সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক এবং মারাত্মক। ফ্ল্যাশ ফ্লাডকে আপনি হুট করে প্রচুর পরিমাণ পানির একটি স্রোত ভাবতে পারেন। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে পানির স্বাভাবিক চ্যানেলগুলো ছাড়াও অন্যান্য স্থানকে প্লাবিত করে নিচু অঞ্চলে যেতে থাকে এবং একেই বলা হয় ফ্ল্যাশ ফ্লাড।
বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে পিঁপড়া সাইজের প্রাণী বিবেচনা করুন। এরপর এদের বসতিতে আপনি যদি ১ গ্লাস পানি ঢেলে দেন, তবে যা হবে, তাই হচ্ছে।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, ফ্ল্যাশ ফ্লাডের সময় এত বিপুল পরিমাণ পানি কোথা থেকে আসে? এর উত্তর সেই একই বিস্তীর্ণ উঁচুভূমি জুড়ে বৃষ্টিপাত, যা প্রচুর শক্তি নিয়ে নিচুভূমির দিকে প্রবাহিত হয়।

সম্প্রতি ফেনী অঞ্চলে সংঘটিত বন্যা মূলত ফ্ল্যাশ ফ্লাড। এই বন্যা শুধু ফেনী নয়, আশপাশের আরও অনেকগুলো জেলাকে প্লাবিত করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশের সিলেটে কিছুদিন পরপরই বন্যা হতে দেখা যায়, যা মূলত ফ্ল্যাশ ফ্লাড। এই ধরনের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী না হলেও খুবই ধ্বংসাত্মক হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের আকস্মিক বন্যার ক্ষেত্রে বিভিন্ন নদীর ভারত অংশে থাকা বাঁধ খুলে দেওয়া কতটা দায়ী, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই রয়েছে। এর উত্তর হচ্ছে, বন্যার তীব্রতা বেশি হওয়ার ক্ষেত্রে এই সকল বাঁধের দায় রয়েছে। অর্থাৎ বাঁধ না থাকলেও বন্যা হতো, তবে সেক্ষেত্রে বন্যার তীব্রতা কম হতো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সেটা কীভাবে?
মাফজোখের ক্ষেত্রে মিটার পদ্ধতি অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। মিটার নির্ণয় ইতিহাস জানুন এখান থেকে।
বিষয়টি খুবই সহজ। বাঁধ যদি না থাকতো, তাহলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনুযায়ী পানি নিচু অঞ্চলে নেমে আসতো। কিন্তু বাঁধ নির্মাণ করে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত পানি ধরে রাখা মানে হচ্ছে বাঁধের একপাশে অতিরিক্ত পানি জমা থাকবে। এখন অতিবৃষ্টির ফলে একদিকে নিম্ন অঞ্চলে পানির প্রচুর চাপ থাকবে।
তার উপর বাঁধে স্টোর করা পানি ও যদি ছাড়া হয় তবে নিচু অঞ্চলে আসা পানির পরিমাণ বেড়ে যাবে। ফলাফল ফ্ল্যাশ ফ্লাড আরো মারাত্মক হয়ে উঠবে।

ফ্ল্যাশ ফ্ল্যাড খুবই দ্রুত মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করে এবং এর গতিপথের অনেক কিছুকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। যার ফলে এই বন্যা খুবই মারাত্মক। পাহাড় যখন ভেঙে যায়, অর্থাৎ পাহাড় ধস ঘটে, তখন খেয়াল করবেন পাহাড়ের উপরের প্রচুর পরিমাণ মাটি হুট করে নিচের দিকে চলে আসে।
ফ্ল্যাশ ফ্ল্যাডের বিষয়টি অনেকটা সেরকম। উঁচু অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের প্রচুর পরিমাণ পানি প্রচুর শক্তি নিয়ে নিচু অঞ্চলের দিকে ধাবিত হতে থাকে, যার ফলে ফ্ল্যাশ ফ্ল্যাড দীর্ঘস্থায়ী হয় না। খুব দ্রুতই পানি নেমে যায়, তবে পেছনে রেখে যায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন।
কোস্টাল ফ্ল্যাড বা উপকূলীয় বন্যা (Coastal flood or Storm surge)
সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল যদি পানিতে প্লাবিত হয়, তবে একে বলা হয় কোস্টাল ফ্ল্যাড বা উপকূলীয় বন্যা। বিভিন্ন কারণে সমুদ্রের পানি উপকূলকে প্লাবিত করতে পারে, যেমন ঘূর্ণিঝড় কিংবা সুনামি।

বাংলাদেশের উপকূলীয় সংকটিত প্রায় প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের সময়ই উপকূলীয় বন্যা দেখা যায়। উপকূলীয় বন্যা কতটা ধ্বংসাত্মক হবে তা ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতার উপর নির্ভর করে। অন্যদিকে, সুনামির ফলে সৃষ্টি উপকূলীয় বন্যা খুবই ধ্বংসাত্মক হয়ে থাকে।
সমুদ্রের তলদেশে সংঘটিত বড় কোনো ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রের পানিতে বিশাল বড় ঢেউ তৈরি হয়, যাকে বলা হয় সুনামি। এখন সুনামির এই উঁচু ঢেউ যখন উপকূলে আছড়ে পড়ে, তখন উপকূলের প্রায় সবকিছুকে প্লাবিত করে। এবং পানি নেমে যাবার সময় তা ফ্ল্যাশ ফ্ল্যাডের মতো প্রচুর শক্তি নিয়ে নামে, যার ফলে বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়।
আরও পড়ুনঃ সেকেন্ড নির্ণয় ইতিহাস Time keeping history and Second definition
বন্যা প্রতিকার (Flood prevention)
বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যার ফলে এর বিপরীতে আমাদের ওই অর্থে কিছুই করার নেই। তবে স্বল্প মাত্রার বন্যা থেকে শহর রক্ষা করার ক্ষেত্রে কিছু কিছু কাজ করা যেতে পারে, যেমন নদীর দুই পাশে শহর রক্ষা বাঁধ দেয়া।
শহরের পানি যেন দ্রুত নেমে যেতে পারে তার ব্যবস্থা করা, অর্থাৎ খালগুলোকে ভরাট না করা এবং দখলমুক্ত রাখা। ড্রেনগুলোকে প্রশস্ত করে তৈরি করা এবং ড্রেন যেন আবর্জনা দিয়ে ব্লক না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। এসব পদক্ষেপের সাথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বন্যা সময় সৃষ্ট পরিস্থিতি কিভাবে ম্যানেজ করা হবে সেই প্রস্তুতি রাখা।
নদীর ন্যায্যতা (Transboundary river in Bangladesh)
এখন পর্যন্ত বন্যার আলোচনায় যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি সামনে এসেছে তা হচ্ছে নদী। এখন এই নদীর ন্যায্যতা নিয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে বেশ কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
বাংলাদেশে মোট সাতান্নটি আন্তর্জাতিক বা অভিন্ন নদী রয়েছে, যার মধ্যে চুয়ান্নটি ভারতের সাথে এবং বাকি তিনটি মিয়ানমারের সাথে। এর মধ্যে ভারতের সাথে থাকা অভিন্ন নদীগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এসব নদীর পানি বণ্টন, নদীর ভারত অংশে বাঁধ দেয়া, সে সাথে বাঁধ কখন খুলবে বা কখন খোলা যাবে না, এ বিষয়গুলো ন্যায্যতার ভিত্তিতে মীমাংসা হতে হবে।
ভারতের কোনো নীতি যদি বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তবে তা ভারতের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের মনে ঘৃণা জন্ম দিবে, যা দুই প্রতিবেশী দেশের কারোর জন্যই ভালো কিছু হবে না।
আশা করছি, বাংলাদেশের নতুন সরকার ভারতের সাথে ন্যায্যতার ভিত্তিতে এ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে এবং ভারত সরকারও ন্যায্যতার প্রশ্নে আন্তরিক থাকবে। (শব্দ সমাচার নিয়ে আগ্রহ থাকলে এটি পড়ুন)
সম্প্রতি ফেনী, কুমিল্লা কিংবা আগে সিলেটের আকস্মিক বন্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে ৩ থেকে ১৫ দিন পূর্বে বৃষ্টির পূর্বাভাস নিখুঁতভাবে করা যায়। অর্থাৎ, আজকেই বলে দেয়া সম্ভব আগামী ৩ থেকে ১৫ দিন কেমন বৃষ্টিপাত হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরা রাজ্যের যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হলো, এর পূর্বাভাস কেন আবহাওয়া অধিদপ্তর দিতে পারলো না? তারা যদি আগে থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিতো, তবে সেই অনুযায়ী মানুষকে সচেতন করা যেত। সেই সাথে জানমালের ক্ষতিও বহুলাংশে কমানো যেত।
বন্যার ইতিবাচক দিক (Positive effects of floods)
বন্যার অনেক নেতিবাচক দিক থাকলেও কিছু কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে। যেমন, বন্যার ফলে ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বন্যার সাথে প্রচুর পরিমাণ নতুন কাদা আসার ফলে মাটির পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়, যা পরবর্তীতে ফসল ফলানোর ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক ভূমিকা রাখে।

যে সকল অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয় না কিংবা কম হয়, সেখানে প্রাণী বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে বন্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে শহর অঞ্চলে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যার ইতিবাচক দিক তেমন কিছুই নেই। কারণ শহর অঞ্চলে মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীর তেমন একটা বিচরণ থাকে না।
অপরদিকে, উপকূলীয় বন্যার ফলে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি উপকূলে চলে আসে, যার ফলে উপকূলের চাষযোগ্য জমি চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সেই সাথে সুপেয় পানির সংকট তৈরি করে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ পৃথিবীতে আগেও ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে বর্তমানে সকল দুর্যোগ ঘনঘন আঘাত আনছে বলে পরিবর্তিত হচ্ছে, যার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়।
সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর জলবায়ু যতদিন প্রাণের জন্য সহনশীল থাকবে, ততদিনই পৃথিবী বসবাসের যোগ্য থাকবে।
পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেক দেশেই পুলিশ রয়েছে। পুলিশের কাজ হচ্ছে দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া, অর্থাৎ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। এই কাজ করতে গিয়ে পুলিশ লেথাল এবং নন-লেথাল, দুই ধরনের অস্ত্রই ব্যবহার করে থাকে।
তবে পুলিশের বেশি ব্যবহৃত অস্ত্র হচ্ছে নন-লেথাল বা প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র। এখন পুলিশ কী কী ধরনের নন-লেথাল অস্ত্র ব্যবহার করে, বিশেষ করে বাংলাদেশের পুলিশ, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন।
Comments ৭