সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ব্যাবঙ্গালোর ভূমির বনাঞ্চল, যা ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কোর অধীনে বিশ্বের ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, কুমির, সাপ এবং অসংখ্য প্রজাতির পাখির আবাসস্থল হচ্ছে এই সুন্দরবন।
আমাদের আজকের এই ভ্রমণ গল্পটি হচ্ছে সুন্দরবনের করমজল স্পটকে কেন্দ্র করে। একদিনের ট্যুরে যারা সুন্দরবন ঘুরে দেখতে চান, করমজল স্পটটি তাদের জন্য আদর্শ জায়গা। করমজল সুন্দরবনে পশুর নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে আপনারা দেখতে পাবেন বানর, হরিণ, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কুমিরের প্রজনন কেন্দ্র এবং বনের ভিতরে হাঁটার জন্য সুন্দর ট্রেইল, কাঠের ঝুলন্ত ব্রিজ, ওয়াচ টাওয়ার, ক্যানেল এবং সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল।
আমি আপনাদের আজকে দেখাবো কিভাবে ঢাকা থেকে সুন্দরবনের করমজলে আসবেন, কোন কোন স্পটগুলো ঘুরে দেখবেন এবং সাথে থাকবে এই ভ্রমণের খরচ সংক্রান্ত তথ্য ও যাবতীয় ভ্রমণ পরিকল্পনা। তাই ভিডিওটি না কেটে সম্পূর্ণ ভিডিও দেখার অনুরোধ জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সুন্দরবন ভ্রমণের গল্প। চলুন, প্রথম থেকে শুরু করা যাক।
আমাদের সুন্দরবন ভ্রমণের যাত্রা শুরু হচ্ছে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে, আর এই যাত্রায় আমরা যাচ্ছি একটি জনপ্রিয় ট্রাভেল গ্রুপের সাথে। ঢাকা থেকে আমাদের গন্তব্য হচ্ছে মংলা। যেহেতু আমরা এটি ট্রাভেল গ্রুপের সাথে যাচ্ছি, তাই ঢাকা থেকে মংলা পর্যন্ত আমাদের জন্য বাস রিজার্ভ করা ছিল।
ঢাকা থেকে মংলা রুটে খুব একটা ভালো মানের বাস সার্ভিস নেই। এক্ষেত্রে পর্যটক পরিবহন, বিএম লাইন এবং দিগন্ত পরিবহন ছাড়াও কিছু লোকাল বাস সার্ভিস দিয়ে থাকে। রাত সাড়ে বারোটায় আমাদের বাস যাত্রা শুরু করলো মংলার উদ্দেশ্যে। প্রথমে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে আমাদের বাস ঢুকে পড়লো ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়েতে।
ঢাকা থেকে মংলার দূরত্ব হচ্ছে ২২৪ কিলোমিটার, যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। এছাড়া, যদি আপনারা আরও ভালো মানের বাস সার্ভিস পেতে চান, তাহলে ঢাকা থেকে খুলনা চলে আসতে পারেন। ঢাকা থেকে খুলনার বাসভাড়া নন-এসি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, আর এসি বাসভাড়া ৯০০ থেকে ১৪০০ টাকা। এক্ষেত্রে আপনারা এনা, হানিফ, সোহাগ, গ্রীনলাইন, ইমাদ, দোলা পরিবহনের বাস পেয়ে যাবেন। ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত যেতে সময় লাগে সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। তাই চেষ্টা করবেন রাতের শেষভাগে গাড়িতে যাওয়ার জন্য।
খুলনার কাটাখালিতে নেমে সকালে মংলা যাওয়ার বাস পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। যাত্রা শুরুর ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যেই আমরা পদ্মা সেতুতে পৌঁছে গেলাম এবং এখন পদ্মা সেতু পার হচ্ছি। আর এটাই ছিল আমার প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু পার হওয়া।
গোপালগঞ্জের হাইওয়ে হোটেলে আমাদের যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়। আপনারা চাইলে এখানে রাতের খাবার খেয়ে নিতে পারেন। তবে হোটেলে খাবার অর্ডার করার আগে অবশ্যই মূল্য সম্পর্কে জেনে অর্ডার করবেন, কারণ এখানে খাবারের দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। বিশ মিনিটের যাত্রাবিরতির পর আমরা আবার ছুটে চললাম মংলা ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে।
মংলা বন্দরের ঘাট থেকে আমি রাইসুল আপনাদের জানাচ্ছি শুভ সকাল। আমরা গতকাল রাত সাড়ে বারোটায় ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা ভোর ছয়টার মধ্যে মংলা ঘাটে পৌঁছে গেছি। আর আজকের পুরো দিনজুড়ে আমরা সুন্দরবনের করমজল স্পটটা ঘুরে দেখব।
তো, আমরা এখন সকালে নাস্তা করবো। নাস্তা করে আমরা ট্রলার করে চলে যাবো আমাদের আজকের স্পট করমজল।
বাস থেকে নেমে আমরা মংলা ফেরিঘাট সংলগ্ন একটি হোটেলে গিয়ে সকালের নাস্তা করে নিই। এখানে চাইলে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে সকালের নাস্তা করে নিতে পারবেন।
সুন্দরবনের করমজলে যাওয়ার জন্য আপনাদের মংলা ফেরিঘাট থেকে নৌকা বা ট্রলার ভাড়া করতে হবে। এখানে বেশ কিছু মাঝারি, ছোট এবং বড় আকারের ট্রলার ও নৌকা আছে। ছোট আকারের নৌকা ভাড়া ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা, মাঝারি আকারের নৌকা ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা, আর বড় ট্রলার ভাড়া ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকা।
আপনারা যারা বড় গ্রুপ হয়ে আসবেন, তারা বড় ট্রলারগুলো ভাড়া করলে খরচ কিছুটা কম হবে। বড় ট্রলারগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ জন যেতে পারে। ভাড়া করার আগে অবশ্যই দরদাম করে নেবেন।
সকাল আটটায় আমাদের ট্রলার যাত্রা শুরু করলো সুন্দরবনের করমজলের উদ্দেশ্যে। মংলা ফেরিঘাট থেকে করমজল যেতে সময় লাগবে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট। আমরা এখন পশুর নদীর উপর দিয়ে করমজলের দিকে যাচ্ছি।
পশুর নদী সারা বছরই কমবেশি উত্তাল থাকে। নদী পার হওয়ার সময় আপনারা বেশ কিছু ট্রলার ও বড় বড় জাহাজ দেখতে পাবেন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরেই সুন্দরবনের সাইডে কিছু দৃশ্য দেখা যাবে।
আমরা ৪০ মিনিটের মধ্যেই করমজল স্পটের সামনে চলে এসেছি। করমজলে নামার পর প্রথমেই যাদের সাথে সাক্ষাৎ হবে, তারা হচ্ছে বানর। এখানে প্রচুর বানর রয়েছে, তাই ব্যাগ, মোবাইল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সাবধানে রাখবেন, কারণ বানর যেকোনো সময় ছিনিয়ে নিতে পারে।
করমজলে নামার পর বড় সুন্দর একটি গেট দেখতে পাবেন। এখানে প্রবেশের জন্য টিকিট কাটতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে আমি টিকিটের দাম জানিয়ে দিচ্ছি— টিকিটের মূল্য ৪৬ টাকা, আর বিদেশিদের জন্য ৫৭৫ টাকা (ভ্যাটসহ)।
টিকিট কাউন্টারের পাশে সুন্দরবনের মানচিত্র রয়েছে। তার পাশেই রয়েছে কুমিরের ডিম, বাঘের পায়ের ছাপ, বাঘের নখ এবং সুন্দরবনের সুন্দরী গাছ। এখানে বেশ কিছু বানর ঘুরে বেড়ায়, যারা পর্যটকদের সামনে দিয়েই হাঁটে।
এখানে প্রতিটি গাছের সাথে নেমপ্লেট লাগানো আছে, তাই কোনটি কোন গাছ, তা সহজেই বুঝতে পারবেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা করমজলে চলে এসেছি এবং এখানে আসতে আমাদের ট্রলারে ৪০ মিনিট সময় লেগেছে।
করমজল স্পট ঘুরে দেখতে প্রায় ১ থেকে ১.৫ ঘণ্টা বা সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা সময় লাগবে। আমরা এখন হরিণের খাঁচার সামনে আছি। এখানে বেশ কিছু হরিণ রয়েছে, যেগুলো বাউন্ডারির মধ্যে রাখা হয়েছে। খুব কাছ থেকে হরিণগুলো দেখা যায়।
আপনারা চাইলে এখানে হরিণের খাবার কিনতে পারবেন। ছোট ছোট ঘাস ৫ থেকে ১০ টাকা করে বিক্রি হয়, যা কিনে হরিণকে খাওয়ানো যায়।
বানরের পাশে আরও কিছু বানর দেখতে পাবেন, যারা প্রায় সময় ছোটাছুটি করে। হরিণ দেখা শেষ করে কিছুটা সামনে এগোলেই ডান পাশে একটি প্যাভিলিয়ন দেখতে পাবেন, যার নাম “ডলফিন”। এখানে তেমন কিছু নেই, শুধু কিছু ডলফিনের মূর্তি রয়েছে।
আর এখানে একটা ডলফিনের কঙ্কাল আছে, যেটা আপনারা এখানে দেখতে পাবেন।
সামনের এইখানে পুকুরে কুমির আছে, আর এখানে সতর্কবাণী দেওয়া আছে— “কুমির হতে সাবধান”। তো, ওইপারে যাওয়া যাবে না। এই পুকুরের ভিতরে বড় বড় কুমির আছে। আমরা সকাল সকাল আসার কারণে এখানে একদম পুকুরের পাড়ে কুমির দেখতে পেয়েছিলাম, একদম শুয়ে আছে কাছে।
এটা হচ্ছে কুমিরের খাঁচা, আর এখানে রয়েছে কুমিরের প্রজনন কেন্দ্র। এখানে কুমিরের ছোট ছোট বাচ্চা আছে, বড় কুমিরও আছে। আসুন, আপনাদেরকে কুমির দেখাই।
এটা হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক কুমির প্রজনন কেন্দ্র। এখানে বেশ কয়েকটি কুমিরের খাঁচা আছে— ছোট, বড়, মাঝারি সব ধরনের। এখানে বেশ কিছু কুমির দেখতে পাবেন। এই কুমিরগুলো একটু বড় সাইজের।
কুমিরের প্রজনন কেন্দ্র থেকে কিছুটা হেঁটে সামনে গেলেই একটি ওয়াচ টাওয়ার দেখতে পাবেন, যেটা নতুন তৈরি করা হয়েছে। এই ওয়াচ টাওয়ারটির নাম “কোকোরেল টাওয়ার”। এর উচ্চতা পাঁচতলা সমান।
চলুন, আমরা এখন এটার উপরে যাচ্ছি। উপর থেকে আশা করি সুন্দর কিছু ভিডিও দেখতে পারবো। সুন্দরবনের এই ওয়াচ টাওয়ার থেকে সুন্দরবনের অপূর্ব কিছু ভিউ দেখা যাচ্ছে। এখান দিয়ে সুন্দরবনের ভিতরে একটা ক্যানেল গেছে।
সকাল সকাল আমরা এখানে কুমির দেখতে পেয়েছিলাম। এই ওয়াচ টাওয়ারের উপর থেকে সুন্দরবনের সুন্দর কিছু দৃশ্য দেখতে পারবেন।
ওয়াচ টাওয়ার থেকে নেমে আমরা চলে আসলাম করমজলের সেই মাঙ্কি ট্রেলের সামনে। এখানে সতর্কবাণী দেওয়া আছে— “মূল ট্রেইল ব্যতীত বনের ভিতরে প্রবেশ নিষেধ”। সুন্দরবনের ভিতরে ওত পেতে থাকতে পারে অজানা বিপদ, তাই চেষ্টা করবেন দলবদ্ধ হয়ে এই ট্রেলের ভিতর দিয়ে হাঁটার জন্য।
এটি আগে কাঠের ছিল, বর্তমানে এটি সিমেন্টের রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। এই ট্রেইলের ভিতর দিয়ে হাঁটার সময় অন্যরকম একটা ভালো লাগবে।
সুন্দরবনের অন্যান্য স্পটের তুলনায় এখানে বাঘের আনাগোনা একদম নেই বললেই চলে। তবে এখানে প্রচুর বানর আছে, যদিও এখন পর্যন্ত এই ট্রেলের ভিতরে বানর দেখা যায়নি।
এখানে আপনি সুন্দরবনের বিভিন্ন রকমের গাছ দেখতে পাবেন। বিশেষ করে, ম্যানগ্রোভ গাছের শ্বাসমূল দেখতে পাবেন। এই ট্রেইলের ভিতর দিয়ে হাঁটার সময় কিছুক্ষণ পরপর বেঞ্চ দেওয়া আছে, যেখানে বসে বিশ্রাম নিতে পারবেন।
করমজলের এই ট্রেইলের ভিতরে আরেকটি ওয়াচ টাওয়ার আছে, যেটা পুরাতন। তবে আমরা এখন ওয়াচ টাওয়ারে উঠবো না, বরং ট্রেইলের ভিতর দিয়ে হাঁটবো।
এই ট্রেইলের ভিতরে বেশ কিছু ক্যানেল দেখতে পাবেন। ট্রেইলটা হচ্ছে রাউন্ড শেপের, সামনে দিয়ে ঘুরে আবার সেই ওয়াচ টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হবে।
আমরা এখন ট্রেইলের ভিতর দিয়ে হাঁটছি। সামনে একটা ঝুলন্ত ব্রিজ আছে। আমরা ঝুলন্ত ব্রিজের কাছাকাছি চলে এসেছি এবং এখানে হাঁটছি।
এবার হাঁটতে খুব একটা খারাপ লাগছে না, আবহাওয়াটা খুব সুন্দর, ঠান্ডা ঠান্ডা একটা অনুভূতি আছে। করমজলের এখানে সুন্দর একটা কাঠের ঝুলন্ত ব্রিজ আছে। মূলত, এই ঝুলন্ত ব্রিজেই সবাই ফটোসেশন করে।
এই ঝুলন্ত ব্রিজ থেকে কিছুটা সামনে গেলে হাতের বামে আবার সেই ওয়াচ টাওয়ারটি দেখতে পাবেন।
আমরা ঝুলন্ত ব্রিজ থেকে ঘুরে সামনে ওয়াচ টাওয়ারের সামনে চলে আসলাম। ওয়াচ টাওয়ারের সামনে বেশ কিছু দোকানপাট দেখতে পাবেন, যেখানে বাদাম, শরবত, কোল্ড ড্রিংকস, চিপস ইত্যাদি কিনতে পারবেন।
এই ওয়াচ টাওয়ারটি হচ্ছে পুরাতন ওয়াচ টাওয়ার। এর উপর থেকে আশা করি আমরা সুন্দরবনের কিছু সুন্দর ভিউ দেখতে পাবো। চারদিকে সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় এই ওয়াচ টাওয়ারের উপর থেকে। দূরে ঝুলন্ত ব্রিজটাও দেখা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।
ওয়াচ টাওয়ার থেকে নেমে সামনের ট্রেল দিয়ে হাঁটলে কিছুক্ষণ পরেই গরমজলের গেটের সামনে পৌঁছে যাবেন। এই পুরো গরমজল এরিয়াটা ঘুরে দেখতে প্রায় ২ থেকে সর্বোচ্চ ২.৫ ঘণ্টা সময় লাগবে। যারা বাজেটের কারণে সুন্দরবনের ৩ দিনের ট্যুর প্যাকেজে যেতে পারছেন না, তারা চাইলে এই কম খরচে একদিনেই গরমজল এরিয়াটা ঘুরে দেখতে পারেন। আশা করছি, আপনাদের ভালো লাগবে।
আমরা পুরো ট্রেলটা ঘুরে দেখেছি, কিন্তু কোথাও বানর দেখতে পাইনি। তবে একদম শেষ প্রান্তে এসে কয়েকটা বানর দেখতে পেলাম।
গরমজলে আসলে খাবারের কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানে লাঞ্চ করতে চাইলে আগে থেকেই খাবার নিয়ে আসতে হবে অথবা মংলা ফেরিঘাটে ফিরে দুপুরের খাবার খেতে পারবেন।
আপনারা চাইলে করমজল থেকে সুন্দরবনের ক্যানেলের ভিতরে নৌকা দিয়ে ঘুরতে পারেন। এক্ষেত্রে কাউন্টার থেকে পারমিশন নিতে হবে এবং আলাদা ফি দিতে হবে। আর ক্যামেরা ব্যবহার করলে ক্যামেরার জন্য আলাদা ফি দিতে হবে।
এখান থেকে নৌকায় ঘুরার জন্য একজন গাইড সাথে যাবেন এবং নৌকা ভাড়া করতে অতিরিক্ত ১০০০ টাকা লাগবে। আপনারা চাইলে এই ক্যানেলের ভিতরটাও ঘুরে দেখতে পারেন।
যদিও আমরা এই ক্যানেলের ভিতরে যাচ্ছি না, আমরা এখন ট্রলারে করে আবার মংলা ফেরিঘাটে চলে যাবো। সেখান থেকে আমরা বাগেরহাট যাবো এবং সেখানে দুপুরের লাঞ্চ করবো। যারা একদিনের ট্যুরে গরমজল আসেন, তারা চাইলে বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ এবং খান জাহান আলীর মাজারটাও ঘুরে দেখতে পারেন।
আমরা যেহেতু একটি ট্রাভেল গ্রুপের সাথে এসেছি এবং এই সবকিছুই আমাদের প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাই আমরা এখন বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ দেখার জন্য যাচ্ছি।
সুন্দরবনের করমজলে একদিনে ঘোরার জন্য যতটুকু সম্ভব গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা যে ট্রাভেল গ্রুপের সাথে এসেছি, তার নাম হচ্ছে টুর বাজ বিডি, যারা প্রতি সপ্তাহে সুন্দরবনের ট্যুর দিয়ে থাকে। আমাদের এই প্যাকেজের খরচ পড়েছে পনেরশো টাকা।
আজকে এ পর্যন্তই। আমাদের সুন্দরবন ভ্রমণের গল্পটা এখানে শেষ হচ্ছে। দেখা হচ্ছে পরবর্তীতে মাত্র ১৩৫০ টাকায় শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ একদিনে কিভাবে হলো তা শেয়ার করবে।
Comments ২