বাংলাদেশ ভ্রমণ: অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাকৃতিক চমৎকার কিছু স্থান যা পর্যটকদের সবসময় আকর্ষণ করে আসছে। এখানে ভ্রমণ করার জন্য উপযোগী এবং জনপ্রিয় দশটি চমৎকার স্থান সম্পর্কে বলবো।
আয়তনের দিক থেকে ছোট্ট একটা দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। তা সত্ত্বেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোনো কমতি নেই এই দেশটিতে। তাইতো কবি বলেছিলেন, “এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি।” সকল দেশের রানী সেজে আমার জন্মভূমি।”
বাংলাদেশ ভ্রমণ
১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর। এছাড়াও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বদ্বীপ। এখানে রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এবং দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ রোড।
প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া কিংবা আখাউড়া থেকে মুজিবনগর—বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গাই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত।
পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তা ও সৌন্দর্যের দিক থেকে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের চমৎকার দশটি স্থান সম্পর্কে জানাবো। সাথে থাকুন এবং নিয়মিত এই ধরণের আপডেট পেতে আমাদের ভ্রমণ গাইড বিভাগের প্রকাশনাগুলো পড়ুন।
নিকলী হাওর (Nikli Haor)

কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় অবস্থিত নিকলী হাওর। মিঠামইন, অষ্টমগ্রাম ও ইটনা উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত বাংলাদেশের অন্যতম বড় মিঠাপানির জলাভূমি অসাধারণ দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র।
আমাদের তালিকার প্রথমেই রেখেছি নিকলী হাওর। বিস্তৃত জলাভুমির মাঝ দিয়ে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ পেতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন কিশোরগঞ্জ জেলার এই স্থান থেকে। কিশোরগঞ্জ জেলার চারটি উপজেলা—ইটনা, মিঠামইন, নিকলী ও অষ্টগ্রাম।
বর্ষামৌসূমে এই হাওর অঞ্চল কানায় কানায় পানিতে পূর্ণ থাকে। একসময় এই হাওরের মানুষের মধ্যে একটা কথা প্রচলিত ছিল—”বর্ষাকালে নাও, আর শুকনায় পাও।” অর্থাৎ বর্ষার সময় নৌকা চলাচল করত, আর শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে চলতে হতো।
তবে এই অলওয়েদার রোড বা সাবমারসিবল রোড হাওরবাসীর জীবনযাত্রা যেমন বদলেছে, তেমনি পর্যটকদের কাছেও স্থানটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এক দিনেই নিকলী হাওর ভ্রমণ এর ট্যুর প্লান দেখুন।
টাঙ্গুয়ার হাওর
হাওর প্রেমীদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণ দ্বিতীয়তে আছে টাঙ্গুয়ার হাওর। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত এই পর্যটন স্পটটি বেশ জনপ্রিয় এবং নয়নাভিরাম। স্থানীয়রা একে নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল নামেও ডাকে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর মোট ৫১টি হাওর নিয়ে গঠিত। এটি প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই হাওর দ্বিতীয় রামসার সাইট, আর প্রথমটি হচ্ছে সুন্দরবন। টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের উপযুক্ত সময় বর্ষাকাল।

বাংলাদেশ ভ্রমণ সেরা দশ তালিকায় নিকলী এবং টাঙ্গুয়ার হাওরকে পাশাপাশি অবস্থানে রেখেছি, দুটি আলাদা বৈশিষ্ট্যের কারণে। অলওয়েদার বা সাবমারসিবল রোডের জন্য নিকলী হাওরে যেমন পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে, ঠিক তেমনি টাঙ্গুয়ার হাওরের সৌন্দর্যকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে মেঘালয়ের পাহাড়শ্রেণি। জীববৈচিত্র্যের দিক থেকেও এ স্থান অনন্য।
শীতের মৌসূমে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসে পরিযায়ী পাখি। এছাড়াও এই হাওরে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। ২০১৯ সালের পাখিশুমারি অনুযায়ী, হাওর ও আশপাশের এলাকায় ২০৮ প্রজাতির পাখি দেখা গেছে। বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ছাড়াও নানা জাতের সরীসৃপ ও উভচর প্রাণীর আবাসস্থল এটি।
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে এলে দেখতে পাবেন ছোট ছোট সোয়াম্প ফরেস্ট, শহীদ সিরাজ লেক বা নীলাদ্রি লেক, বাড়ীটিলা, জাদুকাটা নদী, লাউয়ের ঘর এবং শিমুল বাগান। এক কথায়, এই হাওরের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
আরও পড়ুনঃ শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ ১ দিনে – মাত্র ১৩৬০ টাকায় – Dhaka to Sreemangal Tour One Day 2025
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
আমাদের বাংলাদেশ ভ্রমণ তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত। পর্যটকদের কাছে এটি “সাগরকন্যা” নামে পরিচিত।
১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সমুদ্র সৈকতের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এখান থেকে সকাল বেলা সূর্যোদয় ও সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দুটোই স্পস্ট দেখা যায় বা বাংলাদেশের অন্য কোথাও সম্ভব নয়।
রাঙ্গামাটি
এবারে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে রাঙ্গামাটি। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভূমি পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি। প্রকৃতি যেন নিজ হাতে এ জেলাকে সাজিয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটির দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার, আর রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৩০৮ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ ভ্রমণ রাঙ্গামাটির অন্যতম দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে কাপ্তাই লেক, ঝুলন্ত সেতু, রাজবন বিহার, সুবর্ণ ঝর্ণা, নৌবাহিনী পিকনিক স্পট, অরণ্য ক্রিসেন্ট রিসোর্ট, অল ওয়েল পার্ক, পুরোমন পাহাড় ইত্যাদি। দূর নীল আকাশ, পাহাড়ের চূড়ায় মেঘের আনাগোনা, বিস্তীর্ণ লেক আর সবুজ বনানী—সবকিছু মিলিয়ে রাঙ্গামাটি সত্যিই মনোমুগ্ধকর এক স্থান।
আরও দেখুনঃ কন্যাকুমারী – তিন সাগরের মোহনায় দেখা মেলে তিন রঙের জলের ধারা
সুন্দরবন
আমাদের তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সুন্দরবন। এটি বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এক বিস্তৃত বনভূমি, যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়গুলোর অন্যতম।
সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট যা সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। এই বনের ছয় হাজার সতের বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশের আর তিন হাজার নয়শত তিরাশি বর্গকিলোমিটার ভারতের দখলে আছে।
বর্তমানে বনাঞ্চলের আশপাশে জনবসতি গড়ে ওঠায় মূল বনের আয়তন অনেকটাই কমে এসেছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর আবাসস্থল হিসেবে স্বীকৃত এই পর্যটন কেন্দ্রে আপনি দেখা পেতে পারেন নানান বিলুপ্ত ও বিরল প্রজাতির পাখি, কুমির, সাপ ও অসংখ্য নাম না জানা প্রাণীর। প্রাকৃতিক ও প্রাণী বৈচিত্রের কারণে ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো এই বনকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা হয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করা যায়। বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই বন ভ্রমণের জন্য বন বিভাগের নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে অনুমতি দেওয়া হয়। দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে করমজল, হারবাড়িয়া, কচিখালি, কটকা, জামতলা, হিরণ পয়েন্ট ও দোবলার চর। বাংলাদেশ ভ্রমণ সুন্দরবন উপযুক্ত সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
আরও দেখুনঃ সুন্দরবন করমজল ভ্রমণ একদিনে – Sundarban Koromjol Tour from Dhaka 1 Day
জাফলং
আমাদের তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে সিলেটের জাফলং। “প্রকৃতির কন্যা” হিসেবে পরিচিত সিলেটের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান এটি। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্গত এই পর্যটনস্থল অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।
এটি সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে, ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জয়ন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। পর্যটনের পাশাপাশি জাফলং পাথরের জন্য বিখ্যাত। জাফলং যাওয়ার পথেই আরও বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন লালাখাল, আগুন পাহাড়, ডিবির হাওর, শ্রীপুর চা বাগান, তামাবিল স্থলবন্দর এবং সংগ্রাম মন্ত্রীর ঝর্ণা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে এগিয়ে এবং জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা সিলেটের আরও অনেকগুলো জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাংলার কাশ্মীর খ্যাত ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর, পান্থুমাই ঝর্ণা, বিছানাকান্দি এবং বাংলার অ্যামাজন কিংবা সিলেটের সুন্দরবন খ্যাত রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট।
সাজেক ভ্যালি
আমাদের বাংলাদেশ ভ্রমণ লিস্টের চতুর্থ স্থানে রয়েছে মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি। সাজেক বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। সময়ের ব্যবধানে এ স্থান দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বছরের বেশিরভাগ সময় সাজেকের চারপাশে অসংখ্য মেঘের দল ঘিরে থাকে। হাতের কাছে মেঘ ছুঁয়ে দেখার অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন সাজেক থেকে।
কক্সবাজার
তৃতীয় স্থানে রয়েছে কক্সবাজার। এর অবস্থান তৃতীয় হলেও এটি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সুন্দর স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। কক্সবাজারই এমন একটি পর্যটন কেন্দ্র যেখানে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভ্রমণ করে। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত একপাশে সুউচ্চ পাহাড়শ্রেণি এবং অপর পাশে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি। মাঝখানে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ রোড, যা এ স্থানকে দিয়েছে এক অনন্য সৌন্দর্য।
সেন্ট মার্টিন
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সেন্ট মার্টিন। এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। সেন্ট মার্টিন নীলাভ স্বপ্নের এক দ্বীপ। বাংলাদেশে এত সুন্দর একটি দ্বীপ আছে, না দেখলে বিশ্বাস করাই কঠিন। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত এই দ্বীপটি টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমারের উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে, নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত।
উত্তরে বিস্তৃত এ দ্বীপের আয়তন জোয়ার-ভাটার সাথে বাড়ে ও কমে। জোয়ারের সময় দ্বীপের আয়তন থাকে ৫ বর্গকিলোমিটার এবং ভাটার সময় ৯ বর্গকিলোমিটার। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও ডাকা হয়। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস এই দ্বীপ ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
বান্দরবান
সবশেষে, আমাদের বাংলাদেশ ভ্রমণ প্রথম স্থানে রয়েছে বান্দরবান। এখানে এমন সব মনোমুগ্ধকর স্থান রয়েছে, যা দেখে বিমোহিত হয়ে হাজার হাজার পর্যটক বারবার পাহাড়ের ডাকে ফিরে আসে।
ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে বান্দরবান এক স্বর্গরাজ্য। হাতে গোনা কয়েকটি স্থানের নাম নিয়ে বান্দরবানের সৌন্দর্য বোঝানো সম্ভব নয়। কারণ, প্রতিটি পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, পাহাড়িদের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি ও হাজার বছরের ঐতিহ্য।
বান্দরবানের অন্যতম দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে নীলাচল, বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক পাহাড়, সেনা নিয়ন্ত্রিত নীলগিরি রিসোর্ট, মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স, সৈলপ্রপাত, স্বর্ণমন্দির এবং নব্বইয়ের দশকে নির্মিত তামাথাং পর্যটন কমপ্লেক্স। তবে এটি বান্দরবানের সৌন্দর্যের সামান্য অংশমাত্র।
এছাড়াও বান্দরবানের থানচি, আলীকদম, তিন্দু, রেমাক্রি, আমিয়াখুম, নাফাখুম, সাত ভাই খুম, ভেলা খুম, দেবতা খুম, ডিম পাহাড়, আন্ধারমানিক, বগা লেক, চাঁদিপাই, শাখাহাফং, তাজিনডং, চুডলং, দুমলং, যোগীহাফং, কেউক্রাডং, রুমা বাজার, তেতুলিয়ামুখ, মুক্রতাথুয়াহাফং, কপিতান পাড়া—এমন অসংখ্য জায়গা রয়েছে, যেগুলো নিয়ে আরও অনেক ভিডিও তৈরি করা সম্ভব।
বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে আগ্রহী পাঠকদের এতসব অপার সৌন্দর্যের সাক্ষী হয়ে শেষ পর্যন্ত আবারও সেই কথাটাই বলতে হয়—
“এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সেজে আমার জন্মভূমি!”
Comments ১